ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন করে আবূ লাহাবও উপকৃত হয়েছে
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান>
ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করার বৈধতা তো সুনিশ্চিত ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এখন আলোচনা করা যাক এ বরকতমণ্ডিত কাজের উপকারিতা সম্পর্কে। নবী-ই আকরামের পবিত্র জন্মে খুশী প্রকাশ করার ফলে আবূ লাহাবের মতো কট্টর কাফিরও উপকৃত হয়েছে। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, আবূ লাহাবের এক ক্রীতদাসী ছিলেন। তাঁর নাম সুয়াইবাহ্। হুযূর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর শুভজন্মের সময় আবূ লাহাব সুয়াইবাহকে সায়্যিদাহ্ ত্বাহিরাহ্ হযরত আমিনা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার সেবার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলো। সুতরাং সুয়াইবাহ্ গিয়ে হযরত আমিনার খিদমতে লেগে গেলেন। যখন আক্বা-ই দু’জাহান হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ভূমিষ্ঠ হলেন, তখন সুয়াইবাহ্ দৌঁড়ে তাঁর মুনিব আবূ লাহাবের নিকট আসলো। আর বললো, “আজ আপনার মরহুম ভাই খাজা আবদুল্লাহর ঘরে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছেন।” আবূ লাহাব যখন আপন ভ্রাতুষ্পুত্রের জন্মের সুসংবাদ পেলো, তখনই খুশী হয়ে নিজ হাতের আঙ্গুলের ইঙ্গিতে সুয়াইবাহ্কে আযাদ করে দিলো। হাদীস শরীফের বর্ণনা নিম্নরূপঃ
عَنْ عُرْوَةَ وَثَوَيْبَةُ مَوْلاَةٌ لِاَبِىْ لَهَبٍ كَانَ اَبُوْ لَهَبٍ اِعْتَقَهَا فَاَرَضَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ اُرِيَه بَعْضُ اَهْلِه بِشَرِّحِيْبَةٍ قَالَ لَه مَاذَا لَقِيْتَ؟ قَالَ اَبُوْ لَهَبٍ لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ اَنِّىْ سُقِيْتُ فِىْ هٰذِه بِعِتَاقَتِىْ ثُوَيْبَةَ [بخارى]
অর্থ: হযরত ওরওয়াহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, হযরত সুয়াইবাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা আবূ লাহাবের ক্রীতদাসী ছিলেন। যাঁকে আবূ লাহাব আযাদ করে দিয়েছিলো। অতঃপর হযরত সুয়াইবাহ্ শিশু হুযূর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে দুধ পান করানোর সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। যখন আবূ লাহাব মারা গেলো, তখন তার পরিবারের একজন তাকে স্বপ্নে দেখলেন এবং তাকে অতি মন্দ অবস্থায় দেখতে পেলেন। তিনি আবূ লাহাবকে বললেন, “মৃত্যুর পর তোমার কি অবস্থা চলছে?” উত্তরে আবূ লাহাব বললো, তোমাদের থেকে পৃথক হয়ে আসার পর থেকে কঠিন আযাবে লিপ্ত আছি; এতদ্ব্যতীত যে, সুয়াইবাহ্কে আযাদ করার কারণে আমাকে কিছু পানি পান করতে দেওয়া হয়। [বোখারী শরীফ]
এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় হযরত ইমাম ইবনে হাজার আসক্বালানী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেছেন, (স্বপ্নটি কে দেখেছেন এবং কখন দেখেছেন?)
قَالَ الْحَافِظُ الْعَسْقَلاَنِىُّ فِي الْفَتْحِ: وَذَكَرَ السُّهَيْلِىُّ اَنَّ الْعَبَّاسَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : لَمَّا مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ رَأَيْتُه فِىْ مَنَامِىْ بَعْدَ حَوْلٍ فِىْ شَرِّ حَالٍ فَقَالَ مَا لَقِيْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً اِلاَّ اَنَّ الْعَذَابَ يُخَفَّفُ عَنِّىْ كُلَّ يَوْمِ اِثْنَيْنِ قَالَ : وَذلِكَ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ يَوْمَ الْاِثْنَيْنِ وَكَانَتْ ثُوَيْبَةُ بَشَّرَتْ اَبَا لَهَبٍ بِمَوْلِدِه فَاَعْتَقَهَا [ فتح البارى : جلد ـ৯: صفحه ৮৪]
অর্থ: আল্লামা হাফেয ইবনে হাজার আস্কালানী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আরায়হি হযরত ইমাম সুহায়লী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির বরাতে ‘ফাতহুল বারী শরহে বোখারী’তে বর্ণনা করেছেন, হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেছেন, যখন আবূ লাহাব মারা গেলো, এর এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখলাম। তাকে অতি শোচনীয় অবস্থায় দেখলাম। সে বলছিলো, “তোমাদের থেকে পৃথক হয়ে আসার পর থেকে আমি কোন আরাম পাইনি বরং কঠিন শাস্তিতে গ্রেফতার হয়ে আছি। কিন্তু যখন সোমবার আসে, তখন আমার শাস্তিকে কিছুটা হ্রাস করা হয়। আমার শাস্তি হাল্কা হয়ে যায়।” এখন হযরত আব্বাস এর কারণ বর্ণনা করে বলেছেন, প্রতি সোমবার তার শাস্তি কেন কম করে দেওয়া হয়?
قَالَ وَذلِكَ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ يَوْمَ الْاِثْنَيْنِ وَكَانَتْ ثُوَيْبَةُ بَشَّرَتْ اَبَا لَهَبٍ بِمَوْلِدِه فَاَعْتَقَهَا ـ
অর্থ: হুযূর নবী-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর বেলাদত মুবারক সোমবারে হয়েছিলো। যখন সুয়াইবাহ্ ওই দিন আবূ লাহাবকে হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর বেলাদত শরীফের সুসংবাদ দিয়েছিলেন, তখন (হুযূর-ই আক্রামের শুভ জন্মের খুশীতে) আবূ লাহাব সুয়াইবাহকে আযাদ করে দিয়েছিলো। (সুতরাং আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে এর প্রতিদানও দিয়ে দিয়েছেন) এতে একথা সুস্পষ্ট হলো যে, ঈদে মীলাদুন্নবী উদ্যাপনের ফলে আবূ লাহাবের মতো কট্টর কাফিরও উপকৃত হচ্ছে।
এখন দেখুন হাদীস-ই সুয়াইবাহ সম্পর্কে
বিরুদ্ধবাদীদের আপত্তি ও সেটার খণ্ডন
উপরোক্ত হাদীস শরীফখানা সহীহ্ বোখারী শরীফের হাদীস। এটা যে একটি সহীহ্ (বিশুদ্ধ ও নির্ভুল) হাদীস তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। কিন্তু কিছু সংখ্যক বদ-আক্বীদা (ভ্রান্ত আক্বীদাসম্পন্ন) লোক এ হাদীসের বিপক্ষে আপত্তি করে বেড়ায়। আপত্তিগুলো নিম্নরূপঃ
এটা স্বপ্নের কথা। আবূ লাহাব স্বপ্নে কথাগুলো বলেছে। সুতরাং আমরা স্বপ্নের কথাকে দলীল হিসেবে নিতে পারিনা। স্বপ্নের কথাও আবূ লাহাবের!
এখন এর জবাব (খণ্ডন) দেখুন
আমরা আবূ লাহাবের স্বপ্ন থেকে দলীল গ্রহণ করছিনা। স্বপ্নটি না আমি দেখেছি, না আবূ লাহাব দেখেছে। আমরা আবূ লাহাবের স্বপ্নকে দলীলের ভিত্তি সাব্যস্ত করিনি। হে আপত্তিকারীরা শোনো! বরং আমরা যেই দলীল গ্রহণ করছি, তা হুযূর সরকার-ই দু’ আলম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর চাচা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বর্ণনা থেকে দলীল নিচ্ছি। হযরত আব্বাসও যদি ওটাকে নিছক স্বপ্ন মনে করে ছুঁড়ে মারতেন, এটা আবূ লাহাবের স্বপ্ন বলে রদ্দ্ করে দিতেন, বর্ণনা না করতেন, তাহলে আমরাও সেটা থেকে দলীল গ্রহণ করতাম না। কিন্তু হুযূর-ই আক্রামের চাচা হযরত আব্বাস তা গ্রহণ করেছেন, হাদীস হিসেবে সেটাকে বর্ণনা করেছেন, ইমাম বোখারীও সেটাকে অতি যত্ন সহকারে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং আমরাও সেটাকে দলীল রূপে গ্রহণ করছি। তাও নিছক আবূ লাহাবের কথা থেকে নয়; বরং হযরত আব্বাসের কথা থেকে দলীল গ্রহণ করা হচ্ছে। ইমাম বোখারীর বর্ণিত হাদীস শরীফ থেকে এ দলীল গ্রহণ করা হচ্ছে। সুতরাং এ হাদীস শরীফ ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপনের পক্ষে দলীল হিসেবে গ্রহণ করতে এবং এ বিষয়ে এটাকে সনদ হিসেবে গ্রহণ করতে বাধা কোথায়?
এ হাদীস শরীফ সম্পর্কে যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসগণের অভিমতসমূহ
হযরত আল্লামা হাফেয শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ জাযারীর বর্ণনা। তিনি তাঁর প্রণীত কিতাবে লিখেছেন-
فَاِذَا كَانَ اَبُوْ لَهَبٍ نِ الْكَافِرُ الَّذِىْ نَزَلَ الْقُرْانُ بِذَمِّه جُوْزِىْ فِى النَّارِ بِفَرْحِه لَيْلَةَ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِه فَمَا حَالُ الْمُسْلِمِ الْمُوَحِّدِ مِنْ اُمَّةِ النَّبىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْه ِ وَسَلذَمَ يَسُرُّ بِمَوْلِدِه وَبَذْلِ مَا تَصِلُ اِلَيْهِ قُدْرَتُه فِىْ مَحَبَّتِه صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ لَعَمْرِىْ اِنَّمَا يَكُوْنُ جَزَائُه مِنَ اللهِ الْكَرِيْمِ اَنْ يُدْخِلَه بِفَضْلِه جَنَّاتِ النَّعِيْمِ ـ
অর্থ: হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর বরকতম-িত বেলাদতের সময় খুশী প্রকাশের প্রতিদান স্বরূপ যখন আবূ লাহাবের মতো কাফিরের শাস্তিকে হ্রাস করা হয়, যার দুর্নামে পবিত্র ক্বোরআনে একটি পূর্ণ সূরা (সূরা লাহাব) নাযিল হয়েছে, তখন উম্মতে মুহাম্মদীর ওই মুসলমানের প্রাপ্ত প্রতিদান বা সাওয়াবের অবস্থা কীরূপ হবে, যে হুযূর-ই আক্রামের মীলাদ শরীফের খুশী উদযাপন করে এবং হুযূর আকরামের ভালবাসায় সামর্থ্যানুসারে ব্যয় করে? আল্লাহরই শপথ! আল্লাহ্ তাকে এ জন্য নি’মাত ভর্তি জান্নাত দান করবেন। [সূত্র. ইমাম সুয়ূত্বী, কৃত. আল-হাভী: পৃ. ২০৬]
এ হাদীস সম্পর্কে হযরত আবদুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী আলায়হির রাহমাহর অভিমত
এ হাদীস শরীফ মীলাদুন্নবীর খুশী উদযাপনকারীগণ এবং এ জন্য অর্থ ব্যয়কারীদের জন্য দলীল ও সনদ। তা এ মর্মে যে, আবূ লাহাব, যার দুর্নাম প্রসঙ্গে ক্বোরআন নাযিল হয়েছে, সে যখন হুযূর-ই আক্রামের বেলাদত শরীফের খুশীতে তার ক্রীতদাসী সুয়াইবাহকে আযাদ করার কারণে তার শাস্তি হ্রাস করা হয়েছে, তখন ওই মুসলমানের মর্যাদা কেমন হবে, যার অন্তরে রসূলে পাকের ভালবাসা ঢেউ খেলছে। আর এতদুপলক্ষে খুশী প্রকাশ করে?
পরিশেষে, ঈদে মীলাদুন্নবীর খুশী উদযাপন যেমন বরকতমণ্ডিত, তেমনি এটাকে অস্বীকার করার জন্য কোনরূপ টালবাহানা ও খোঁড়া যুক্তি পেশ করলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না; বিবেকবান মুসলমানগণ তা কখনো গ্রহণ করবেন না।
হযরত শায়খ সা’দীর না’তে রসূল
পৃথিবী খ্যাত ওলী ও ফার্সীভাষার কবি হযরত শায়খ সা’দী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি একবার হুযূর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর শানে না’ত শরীফ লিখার জন্য বসলেন। কাগজ-কলম হাতে নিলেন। না’ত লিখতে শুরু করলেন-
ـ كَشَفَ الدُّجٰى بِجَمَالِه بَلَغَ الْعُلٰى بِكَمَالِه
حَسُنَتْ جَمِيْعُ خِصَالِه
এ পর্যন্ত লিখে ভাবতে লাগলেন। কি লিখে পংক্তিটা পরিপূর্ণ করবেন! মনে কিছু আসছেনা! অস্থিরতায় ভুগছিলেন! কারণ, পংক্তির সর্বশেষ চরণটি লিখতে পারলে তা হুযূর-ই আক্রামের শানে আবৃত্তি করে আনন্দ পাবেন! এ অস্থিরতার মধ্যে ভাবতে ভাবতে তাঁর চোখে ঘুম এসে গেলো। তাঁর হৃদয় মন তো আগে থেকে আলোকিত ছিলো। এবার আরো আলোকিত হয়ে গেলো। তিনি হুযূর-ই আকরাম স্বপ্নে দেখলেন। হুযূর এরশাদ ফরমালেন, “সা’দী! কি করছো?” আরয করলেন, “হুযূর! আপনার না’ত শরীফ লিখছি।” হুযূর-ই আকরাম এরশাদ ফরমারেন, “নিয়ে এসো! আমাকে শুনাও!” শায়খ সা’দী আরয করলেন, “হুযূর! এখনো সম্পূর্ণ করতে পারিনি!” হুযূর এরশাদ ফরমালেন, “যতটুকু লিখেছো ততটুকুই শুনাও!” সুতরাং হযরত সা’দী পড়তে শুরু করলেন-
ـ كَشَفَ الدُّجٰى بِجَمَالِه بَلَغَ الْعُلٰى بِكَمَالِه
حَسُنَتْ جَمِيْعُ خِصَالِه
এ পর্যন্ত এসে থেমে গেলেন। এবার হুযূর-ই আক্রাম এরশাদ ফরমালেন- বাকীটুকু পড়ো! তা এভাবে পড়ো- صَلُّوْا عَلَيْهِ وَاٰلِه সুতরাং একথা সুস্পষ্ট হলো যে, শায়খ সা’দীর এ না’ত শরীফের প্রথম তিনটি অংশ (পংক্তি) হযরত শায়খ সা’দীর রচিত। আর সর্বশষ পংক্তি খোদ হুযূর-ই আক্রামের বাতলানো।
সুতরাং বুঝা গেলো না’তে রসূল হুযূর-ই আকরামের নিকট অতি প্রিয় কাজ। তাই তিনি না’তে রসূল রচনাকারী ও আবৃত্তিকারীরকে সাহায্য করেন। সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম।
মহাপরিচালক-আনজুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।