Anjuman-E Rahmania Ahmadia Sunnia Trust

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অতুলনীয় শুভাগমন ও অলৌকিকত্ব

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অতুলনীয় শুভাগমন ও অলৌকিকত্ব

অধ্যক্ষ মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহর সমুদয় সৃষ্টির অতুলনীয়। তাঁর চরিত্র, আদর্শ, মর্যাদা যেমন সাধারণ উম্মতের সাথে তুলনীয় নয়, তাঁর মাতৃগর্ভে আসা এবং ভূমিষ্ঠ হওয়াও ছিল স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম। তিনি অন্যান্য নবী-রাসূলের সাথেও তুলনীয় নন। ‘আল্লামা ইমাম শরাফুদ্দীন বুসুরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর ক্বাসীদাহ্ গ্রন্থ ‘আল্ কাওয়াকিবুদ্ দুররিয়া বিশারহিল জাওয়াহিরিল বারজানজিয়া ফী মাওলাদি খায়রিল বারিয়্যাহ্’-এ ‘রাসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সৃষ্টি ও চরিত্রে সকল নবীর উপরে স্থান দিয়েছেন। সকল নবী তাঁর ‘ইলম (জ্ঞান) এবং মর্যাদার নিকটেও পৌঁছুতে পারেন নি।’ সকল নবী-রাসূলের নুবূয়াত-রিসালাত, মান-মর্যাদা এবং মুযিজাসমূহ আখিরী নবী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওয়াসীলাহ্য় প্রাপ্ত। আ‘লা হযরত তাঁর ‘হাদায়িক্বে বখশিশ’-এ এক না‘তে বলেন, ‘উপমা তোমার কেউ দেখেনি কখন, তোমারই মত কেউ হয়নি সৃজন।’ (কাব্যানুবাদক, হাফেয মাওলানা মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান)

ফেরেশতারা তাদের রহস্যপূর্ণ আলোচনায় বলেন, আল্লাহর প্রিয় হাবীব নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ধরাবুকে শুভাগমন অন্য কারো জন্মের সাথে তুলনা হয় না।’ পৃথিবীতে তাঁর শুভাগমন অন্য কারো ভূমিষ্ঠের সাথে তুলনা হয় না। শারেহে সাহীহ্ বুখারী ‘আল্লামা শিহাবুদ্দীন আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ খতীব কাসতালানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া’য় বিভিন্ন উদ্ধৃতি ও বর্ণনায় উল্লেখ করেন, হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মাতা হযরত আমিনা দুনিয়ার অন্য কোন গর্ভবর্তী মহিলার মত গর্ভকালীন কোন উপসর্গ অনুভব করেননি। তিনি এ বিষয়ে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেন, হযরত আবূ যাকারিয়া ইয়াহিয়া ইবনে আইজ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাতৃগর্ভে পূর্ণ নয় মাস অবস্থান করেছিলেন, এ সময় তিনি (মা আমিনা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা) গর্ভকালীন মাথা ঘুরানো, মাথা ব্যথা, অস্বস্তি, খাদ্যে অরুচি এবং অন্যসব গর্ভবর্তী মহিলাদের মত অসুবিধা দেখা দেয়নি, তিনি বলতেন, ‘আল্লাহ্র শপথ, আমার এ গর্ভের চেয়ে অতি হালকা, সহজ ও বরকতময় আর দেখিনি। (মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্: ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৬৩)

‘আল্লামা ইমাম তাবরানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ভূমিষ্ঠ হন তখন তাঁর দু’হাতের আঙ্গুলগুলো মুষ্টি অবস্থায় ছিল। শাহাদাত আঙ্গুলী আকাশের দিকে ইশারা করা অবস্থায় তিনি আল্লাহ্র তাসবীহ পাঠরত ছিলেন। আরো বহু বিশেষ অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। প্রিয়নবীর শুভ বেলাদত তথা শুভাগমন মুহূর্তে যা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে বর্ণিত আছে। তাই প্রতীয়মান হয় আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী হুযূর আকরাম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে অন্য কারো সিরাত-সুরত, বেলাদত-ওয়াফাত কিছুতে তুলনা করা যায় না। ‘আল্লামা শাবরানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘আল্ ইত্তিহাফ্ বিহুব্বিল আশরাফ’ এ বর্ণনা করেন, আমাদের প্রিয়নবীসহ কোন নবী অন্য সব মানুষের মত জন্ম লাভ করেন নি। অন্যান্য নবী-রাসূল মায়ের লজ্জাস্থানের উপরিভাগ তথা নাভীর নীচ হতে আর আমাদের রাসূল মা আমিনার তল পেঠের বাম পাশ হতে আল্লাহ্র বিশেষ কুদরতী ব্যবস্থায় দুনিয়ায় শুভাগমন করেন। আল্লামা তালমসানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
হযরত মাওলানা ফজলুর রহমান হাজারভী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর রচিত ‘জামেউল খায়ের’ কিতাবে উল্লেখ করেন, কোন কোন ‘আলিম ইমাম কলয়ূবীসহ মুহাক্বিক্ব উলামায়ে কেরাম হতে বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভূমিষ্ঠ হননি। আম্মাজানের নাভির নিচের স্থান হতে দুনিয়ায় শুভাগমন করেন, যা আল্লাহ্র কুদরতী ও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হয়েছিল। বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ক্বাযী আয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, অন্যান্য নবী রাসূলও রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মত নাভির নিচ স্থান হতে জন্ম লাভ করেন। ‘নিহায়তুজ জায়িন ফী ইরশাদিল মুবতাদিয়ীন’ কিতাবে বলা হয়েছে, মালিকী মাযহাবের ইমাম এ মর্মে ফাতাওয়া ফায়সালায় বর্ণনা করেন, যারা এ কথা বলবে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, তাদেরকে হত্যা করা হবে। (নিহায়তুজ্ জায়িন, ১ম খন্ড, ১২ পৃষ্ঠা, কৃত : আল্লামা ইমাম মুহাম্মদ উমর আলজাবী)

‘আল্লামা ‘আলী বিন ‘আলী আজহারী মিসরী শাফি‘ঈ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, যদিও হাদীসের জাহিরী (প্রকাশ্য) অর্থ হতে বুঝা যায়, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শুভ জন্ম স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে। কিন্তু হযরত ইবনে রুশ্দ মালিকী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এবং মুহাক্বিক্ব ‘উলামায়ে কেরাম হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণ মানুষের ন্যায় প্রস্রাবের স্থান হতে জন্মলাভ করেন নি বরং তার উপরিভাগ স্থান হতে নাভির নিচের উন্মুক্ত করে তাঁর শুভাগমন হয়েছে। যা সাথে সাথে তার বক্ষ বিদারণের মত ঠিক হয়ে যায়।(আল কাওয়াকিবুদ্ দুররিয়া বিশারহিল জাওয়াহিরিল বারজনজিয়া ফী মাওলাদি খায়রিল বারিয়্যাহ্, পৃ. ৮৩)

সুতরাং হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-সহ আল্লাহ্র সকল নবী-রাসূল সম্পর্কে কোন বিষয়ে মন্তব্য করতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শুভাগমণের নূরানী মুহূর্ত অথবা দিবস বা মাসকে কেন্দ্র করে কুরআন পাক তিলাওয়াত, দুরূদ-সালাম পাঠ, হাম্দ, না‘তে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবেশন ও তাঁর জন্মবৃত্তান্ত ও জীবনচরিত আলোচনা, মীলাদ-ক্বিয়াম ও দু‘আ-মুনাজাত করা এবং গরীব অসহায়দের সদাক্বাহ্, দান-খায়রাত করা এবং মহা সমারোহে জশনে জুলূস বা শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনন্দোৎসব প্রকাশ করা নবীপ্রেমের উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মাহ্বূব! আপনি বলুন, আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়াপ্রাপ্তিতে যেন তারা অবশ্যই আনন্দ প্রকাশ করে। তা তাদের সঞ্চয়কৃত সমুদয় ধন-দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। (সূরাহ্ ইউনুস, ৫৮)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বিখ্যাত হফিযুল হাদীস ইমাম জালালউদ্দীন সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর তাফসীর গ্রন্থ ‘আদ্ র্দুরুল মানসূর’-এ বর্ণনা করেন, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, ‘এখানে আল্লাহর অনুগ্রহ দ্বারা ‘ইল্মেদীন’ বুঝানো হয়েছে। ‘রাহমাত’ দ্বারা নূরে মুজাস্সাম হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে হাবীব, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের প্রতি রাহমাত করে প্রেরণ করেছি। (সূরাহ্ আম্বিয়া, ১০৭) আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদেরকে যে অগণিত অনুগ্রহ ও দয়া দ্বারা ধন্য করেন তন্মধ্যে এ পৃথিবীতে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’-এর শুভাগনের চেয়ে বড় অনুগ্রহ ও দয়া আর কি হতে পারে? শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ও ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এভাবে উল্লেখ করেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শুভাগমনের চেয়ে বড় নেয়ামত সৃষ্টিকুলের জন্য আর কি হতে পারে? অবশ্যই আর কিছুই হতে পারে না! আল্লাহর নবী হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম তাঁর উম্মতের প্রতি আসমান হতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা অবতীর্ণের দিনকে পূর্ব ও পরবর্তীদের জন্য ঈদ বা উৎসবের দিন আখ্যায়িত করেন। যা পবিত্র কুরআন দ্বারা প্রমাণিত। এ জন্যই খ্রিষ্টান সম্প্রদায় রবিবারকে তাদের সাপ্তাহিক উৎসবের দিন ও ছুটির দিন পালন করে আসছে। যা খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতীর্ণের আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। ‘খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা’ নাযিলের দিনটি যদি হযরত ‘ঈসা আলায়হিস্ সালাম-এর উম্মতের জন্য ঈদের দিনের মর্যাদা লাভ করে, তবে যে মহান দিবসে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত ও শ্রেষ্ঠতম রাহমাত হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে তাশরীফ আনেন, সেদিনটি বিশ্ব মুসলমান তথা বিশ্ববাসীর জন্য ঈদ বা খুশির দিন হবে না? হ্যাঁ অবশ্যই তা ঈদের দিন এবং পরম আনন্দের দিন। সাহাবায়ে কেরাম নবীজীর জীবদ্দশায় মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথা হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র জন্মবৃত্তান্তের আলোচনা করেন।

হাদিস ও ফিক্বহের প্রসিদ্ধ ইমাম হযরত জালালউদ্দীন সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর রচিত ‘আল্হাবীবিল ফাতুওয়া’য় উল্লেখ করেন, প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি একদিন ঘরে রাসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বেলাদত শরীফ অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রিয় নবীর শুভাগমনের ঘটনাবলী বর্ণনা করছিলেন। এ অবস্থায় তাঁর ঘরে হুযূর কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করেন এবং ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের জন্য আমার সুপারিশ বৈধ হয়েছে।’ (আত-তানভীর, কৃত ইমাম ইবনে দাহিয়া রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এ কিতাবে আরো বর্ণনা পাওয়া যায়, প্রিয়নবীর প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি একদা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আনসারী সাহাবী হযরত আমির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু-এর গৃহে গমন করেছিলেন। তখন হযরত আমির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁর সন্তান ও গোত্রের সবাইকে নিয়ে হুযূর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এ বেলাদত তথা শুভাগমনের ঘটনা শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, অজকের পবিত্র দিন প্রিয়নবীর শুভাগমন হয়েছিল। তখন হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে আমির! নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমার জন্য রাহমাতের দুয়ার খুলে দিয়েছেন এবং ফিরিশতারা তোমার জন্য ইস্তিগফার করছেন। অতঃপর যারা এ কাজ করবে, তারা তোমার মত মুক্তি লাভ করবে। পবিত্র মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপনের তাওফিক নসীব করুন -আমীন।

লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

Share:

Leave Your Comment