ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে ব্যাংক যদি নিজের ইচ্ছায় কিছু টাকা লাভ দেয়; এটা কি সুদ হবে?
প্রশ্ন: ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে ব্যাংক যদি নিজের ইচ্ছায় কিছু টাকা লাভ দেয়; এটা কি সুদ হবে? বা কোন মানুষকে কিছু টাকা ধার দিলে সে নিজের ইচ্ছায় কিছু টাকা লাভ দিলে তা সুদ বলে গণ্য হবে কিনা? উত্তর: বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং লেন-দেনে ব্যাংকে জমাকৃত টাকা বা আমানতের উপর ব্যাংক কতৃপক্ষ বা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট হারে শতকরা হিসেবে যে টাকা আমানতদানকারী/জমাদানকারীকে যে ইনট্রেস্ট বা অতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রদান করা হয় তা গ্রাহকের দাবী ব্যতিত, তা যদিও বর্তমান যুগের কিছু কিছু মুফতি/ফকিহ্ সুদের অন্তর্ভুক্ত নয় বলে মত ব্যক্ত করেছেন। তবে মুহাক্বিক্ব ফোকাহায়ে কেরামের মতে তা সুদের অবকাশ হতে মুক্ত নয় বিধায় ব্যাংকে জমা টাকার উপর শতকরা হারে যা অতিরিক্ত লভ্যাংশ দেয়া হয় তা গ্রাহক গ্রহণ করে গরীব-মিসকিন ও অসহায় ব্যক্তিকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দিয়ে দেবে। এটাই নিরাপদ ও সতর্কতা। ঋণ/ধারের টাকার সাথে স্ব-ইচ্ছায় লাভ হিসেবে কিছু দিলে সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা হাদীসে পাকে রয়েছে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- যে ঋণ কোনো মুনাফা/লাভ নিয়ে আসে তাও রিবা/সূদের অন্তর্ভুক্ত। [সুনানে বায়হাক্বী,৫/৩৫০] সুতরাং কোন আত্মীয়-স্বজন বা কোন ঈমানদার নর-নারীকে কর্জদাতা কর্জ/ধার দেবে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কর্জ গ্রহিতাকে সহায়তা করার নিয়তে। সেখানে অন্য কোন দুনিয়াবী লাভ বা ফায়দা অর্জনের উদ্দেশ্যে থাকবে না।
[মিশকাত শরহে মিশকাত কৃত, হযরত মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহ. ও ফতোয়ায়ে রজভীয়া, কৃত. ইমাম আলা হযরত শাহ্ আহমদ রেযা খান রহ. ইত্যাদি]