‘যিলক্বদ’ আরবী বর্ষের একাদশ মাস। অন্যান্য মাসের মতো এ মাসেও নিম্নলিখিত ইবাদতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করা যায়।
নামায যিলক্বদ মাসের প্রথম রাতে এশার নামাযের পর চার রাক্‘আত নফল নামায দু’সালামে পড়া যেতে পারে। প্রত্যেক রাক্‘আতে সূরা ফাতিহার পর সূরা-ই ইখলাস ২৩ বার করে পড়বেন। সালাম ফেরানোর পর নিজের গুনাহসমূহ থেকে তাওবা করবেন। আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে মাগফিরাত কামনা করবেন। ইন্শা-আল্লাহু তা‘আলা এ নামাযের বরকতে আল্লাহ্্ পাক তাকে ক্ষমা করবেন এবং হাশরের দিনে তার কপাল সূর্যের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হবে। তাছাড়া, যিলক্বদ মাসের প্রত্যেক রাতে এশার নামাযের পর দু’রাক্‘আত নামায পড়বেন। প্রত্যেক রাক্‘আতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ৩ বার করে পড়বেন। ইন্শা-অল্লাহু তা‘আলা ওই নামায সম্পন্নকারীকে আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রত্যেক রাতে উমরার সাওয়াব দান করা হবে। তাছাড়া, যিলক্বদ মাসের প্রত্যেক জুমু‘আর নামাযের পর ৪ রাক্‘আত নফল নামায দু’সালামে পড়বেন। প্রত্যেক রাক্‘আতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ২১ বার করে পড়বেন। আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা এ নামায সম্পন্নকারীকে ইন্শা- আল্লাহু তা‘আলা, হজ্ব ও উমরার সাওয়াব দান করবেন।
নফল রোযা যিলক্বদ মাসে যে কেউ যে কোন দিনে একটি রোযা রাখবে আল্লাহ্ পাক তাকে উমরার সাওয়াব দান করবেন। এ মাসের সোমবারে কেউ রোযা রাখলে সে অগণিত ইবাদতের সাওয়াব পাবে।
এ মাসে ওফাত প্রাপ্ত কয়েকজন বুযুর্গ ১ যিলক্বদ: ইমাম গুনদর রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। ২ যিলক্বদ: মুফতি আমজাদ আলী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। ১১ যিলক্বদ: আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। ১৯ যিলক্বদ: হযরত মনসুর হাল্লাজ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। ২০ যিলক্বদ: হযরত শাহ্ জালাল রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। ২৩ যিলক্বদ: আল্লামা শামী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। ২৭ যিলক্বদ: হযরত আমীর হামযা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।
আগামী মাস মাহে যিলহজ্ব এ মাসও শাহরুল হারাম এর অন্তর্ভুক্ত। হজ্ব, কোরবানী ও ঈদুল আজহার এ মহান মাসে অধিক হারে নফল ইবাদতে মশগুল থাকার চেষ্টা করা অপরিহার্য। এ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর যে ব্যক্তি দুই রাকাত করে চার রাকাত নফল নামায আদায় করবে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস ২৫ বার করে পড়লে বেশুমার সাওয়াবের কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে। এ মাসের ১০ম রজনীতে বিতির নামাযের পর দুই রাক্‘আত নফল নামায আদায় করবে এর প্রতি রাক্‘আতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা কাউসার তিনবার ও সূরা ইখলাস তিনবার করে আদায় করবেন। এ মাসের যে কোন রাতের শেষ অধ্যায়ে প্রতি রাক্‘আতে সূরা ফাতিহার সাথে তিনবার আয়াতুল কুরসী, একবার সূরা ফালাক ও একবার সূরা নাস দ্বারা চার রাক্‘আত নামায আদায় করবে। অতঃপর দুহাত তুলে নিম্নের দো’য়াটি পড়বে।
এরপর আল্লাহ্র কাছে স্বীয় প্রার্থনা নিবেদন করলে, ইন্শা- আল্লাহ্্ কবুল হবে। এ নামায ও দো‘আর আমল একবার আদায় করলে হজ্ব ও মদীনা তাইয়্যিবায় জিয়ারতের সাওয়াব নসীব হবে।