কুতুবুল আকতাব, হাদিয়ে দ্বীন ও মিল্লাত, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, পেশোয়ায়ে আহলে সুন্নাত, হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী আলহাজ্ব সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (রহ.)
পৃষ্ঠপোষক (১৯৬০-১৯৯৩ পর্যন্ত)
আওলাদে রাসূল, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)
বর্তমান পৃষ্ঠপোষক
আওলাদে রাসূল, হাদীয়ে জামান, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী),
আওলাদে রাসূল, হাদীয়ে জামান, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ ছাবের শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)
অধ্যক্ষ : ড. মুহাম্মদ লিয়াকত আলী (ভারপ্রাপ্ত)
পরিচালনায় : আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট
প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষকতা
১৯৫৪ সাল। বৃহত্তর চট্টগ্রামে নীরবে চলছিল নবী প্রেমিকদের কোনঠাসা করার পাঁয়তারা। অলি বিদ্বেষীদের অপতৎপরতা। এমনি এক ক্রান্তিকালে, সময়ের প্রয়োজনে কুত্ববুল আউলিয়া হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেয ক্বারী সৈয়্যদ আহ্মদ শাহ্ সিরিকোটি (রাহ্.) মাস্লাকে আলা হযরতের উপর ভিত্তি করে চট্টগ্রামের ষোলশহরে প্রতিষ্ঠা করেন, জামেয়া আহ্মদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে সুদীর্ঘ অর্ধ্ব শতাব্দীরও বেশি কাল এ দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশের চৌহদ্দি অতিক্রম করে উপমহাদেশে দীন, মিল্লাত ও মাযহাবের খেদমতে রেখে আসছে ব্যাপক অবদান।
প্রতিষ্ঠাতার যোগ্য উত্তরসূরী আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাহ্.) এবং বর্তমান সাজ্জাদানাশীন হুযূর ক্বিবলাহ্ মাদ্দাযিলুহুল আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় জামেয়ার খ্যাতি আজ দুনিয়া ব্যাপী। যা সূর্যের আলোর ন্যায় সমুজ্জ্বল।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
জামেয়া আহ্মদিযা সুন্নিয়া আলিয়া ইসলামের মূল রূপরেখা আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদায় বিশ্বাসী মাস্লাকে আলা হযরতের উপর আস্থাশীল, নবীপ্রেমে উজ্জীবিত আলিমে হাক্কানী রাব্বানী সৃষ্টি করা। তাঁদের মাধ্যমে মানুষের মনে আল্লাহ্ভীতি, নবীপ্রেম এবং আউলিয়ায়ে কেরামের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা সৃষ্টি করে দীনের খেদমত আঞ্জাম দেয়া।
এ পবিত্র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণে আমাদের অনুসৃত কার্যক্রমে আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অপার অনুগ্রহ, আউলিয়ায়ে কেরামের অশেষ নেগাহ্ করম এবং নবীপ্রেমিক মুসলমানের সার্বিক সহযোগিতা ও সহানূভুতি কামনা করছি।
পরিচালনা পরিষদ
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সরকারী বিধি অনুযায়ী গঠিত পরিচালনা পরিষদের মাধ্যমে জামেয়ার ভাবমূর্তি বিকশিত হয়ে আসছে। বর্তমান জামেয়া পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন-
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট চট্টগ্রাম-এর কেবিনেট :২০২১-২০২৩ ইং
১। জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন – সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
২। জনাব আলহাজ্ব এ. কিউ. আই. চৌধুরী – ভাইস প্রেসিডেন্ট
৩। জনাব আলহাজ্ব মুহাম্মদ আমির হোসেন(সোহেল) – ভাইস প্রেসিডেন্ট
৪। জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন – সেক্রেটারী জেনারেল
৫। জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ সামশুদ্দিন – এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী
৬। জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ সিরাজুল হক – জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী
৭। জনাব আলহাজ্ব এস.এম.গিয়াস উদ্দিন (শাকের) – এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী
৮। জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ এনামুল হক (বাচ্চু) – ফ্যইন্যান্স সেক্রেটারী
৯। জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম – অর্গানাইজিং সেক্রেটারী
১০। জনাব প্রফেসার আলহাজ¦ কাজী শামসুর রহমান- প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী
১১। জনাব আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ- চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
১২। জনাব প্রফেসর আলহাজ্ব মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম- চেয়ারম্যান, জামেয়া আহমদিয়া সুনিèয়া কামিল মাদ্রাসা।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা পরিচালনা পরিষদ :
০১ প্রফেসর মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম -সভাপতি
০২ জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন -সদস্য
০৩ আলহাজ্ব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন -সদস্য
০৪ জেলা শিক্ষা অফিসার, চট্টগ্রাম -বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি
০৫ অধ্যক্ষ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা -সদস্য সচিব
০৬ জনাব মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী -সদস্য
০৭ আলহাজ্ব মোহাম্মদ সামসুদ্দিন -সদস্য
০৮ আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজুল হক -সদস্য
০৯ আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ (সাবেক কমিশনার) -সদস্য
১০ আলহাজ্ব মাওলানা কাজী আবদুল ওয়াজেদ -সদস্য
অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ
প্রতিষ্ঠান প্রধান, প্রতিষ্ঠানের আত্মা। আত্মা দুর্বল ও অসুস্থ হলে শরীর যেমন সবল ও সুস্থ থাকে না, অনুরূপ অদক্ষ, অনভিজ্ঞ, মেধাহীন প্রতিষ্ঠান প্রধানের কারণে প্রতিষ্ঠানও হয়ে পড়ে নির্জীব, নিস্তেজ ও শ্রীহীন। আমাদের সৌভাগ্য, জামেয়া প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে, যোগ্য দক্ষ অভিজ্ঞ মেধাবী দূরদৃষ্টি ও ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন অধ্যক্ষের সুষ্ঠু পরিচালনায় জামেয়ার সার্বিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষা ও শিক্ষক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষক ব্যতীত, যথার্থ শিক্ষাদান আকাশ কুসুম কল্পনা মাত্র। নবীণ ও প্রবীণে মিলে জামেয়ায় আছেন প্রতিভাবান ও ধীশক্তিসম্পন্ন মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, ফক্বীহ্, আলিমে দীন ও শিক্ষক। যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতি বছর জামেয়ার শিক্ষা বাগানে ফুটে অসংখ্য গোলাপ।
অধ্যক্ষ ও শিক্ষকমন্ডলীর কাজের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত আছেন নিবেদিত প্রাণ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকাঃ
জান্নাত নি শান জামেয়া :
জামেয়া প্রতিষ্ঠাতা কুত্ববুল আউলিয়া হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফিয ক্বারী সৈয়্যদ আহ্মদ শাহ্ সিরিকোটি (রাহ্.) জামেয়াকে হযরত নূহ্ (আ.) এর কিশ্তীর সাথে তুলনা করে ‘কিশ্তীয়ে নূহ্ আখ্যায়িত করেছেন। গাউসে যামান মুর্শিদে বারহক্ব হুযূর ক্বিবলাহ্ হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফিয ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাহ্.) জামেয়াকে ‘জান্নাত নিশান অভিহিত করেছেন। জামেয়ার খেদমতকে তাঁর অগণিত মুরীদ, ভক্ত ও অনুরক্তদের অগ্রাধিকারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আন্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়াসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় শতাধিক দ্বীনী মারকাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ওয়াফাতের পর পাকিস্তানের শেতালু শরীফস্থ সিরিকোট দরবারে আলিয়া ক্বাদিরিয়ার বর্তমান সাজ্জাদানশীন হুযূর ক্বিবলাহ্ গাউসে যামান মুর্শিদে বারহক্ব আল্লামা আলহাজ্ব শাহ্সূফী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ ক্বিবলাহ্ (মাদ্দাযিল্লুহুল আলী) এর খাস নেগাহ্ করমে আন্জুমান ট্রাস্টের পরিচালনায় জামেয়াসহ সকল দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। তাঁর অসংখ্য মুরীদ ও ভক্ত-অনুরক্তরা হুযূর ক্বিবলাহ্র নির্দেশনুযায়ী জামেয়াসহ অন্যান্য দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেদমতে ভূমিকা রেখে দুনিয়া ও আখিরাতের ‘নগদ সাওদা হাসিল করে চলেছেন। আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে জামেয়া ও আন্জুমান ট্রাস্ট পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের খেদমত করার তাওফীক্ব দান করুন।
জামেয়ার অবকাঠামো :
১৯৫৪ সালে জামেয়া প্রতিষ্ঠাকালে তৎকালীন সরকারী অনুদান ও বেসরকারী সাহায্য-সহযোগিতায় জামেয়ার শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণে পুরাতন ‘একাডেমিক ভবনটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে হুযূর ক্বিবলাহ্ (রাহ্.) এর বিশিষ্ট মুরীদ মরহুম আলহাজ্ব মুহাম্মদ তালেব আলী সওদাগর ও মরহুম আলহাজ্ব ওসমান আলী সওদাগরের যৌথ বদান্যতায় ‘তৈয়্যবিয়া তালেবিয়া টেকনিক্যাল সেকশন খোলার জন্য পুরাতন ভবনের দক্ষিণাংশের বর্ধিত ত্রিতল ভবনটি নির্মিত হয়। ১৯৮৫ সালে হুযূর ক্বিবলাহ্ (রাহ্.) এর বিশিষ্ট মুরীদ মরহুম আলহাজ্ব ছালেহ্ আহমদ সওদাগরের একক বদান্যতায় পুরাতন ভবনের উত্তরাংশের বর্ধিত ত্রিতল ভবনটি নির্মিত হয়। ২০০৩ সালে মরহুম আলহাজ্ব ছালেহ্ আহমদ সওদাগরের একক বদান্যতায় জামেয়া ময়দানের দক্ষিণাংশের ৬তলা বিশিষ্ট নতুন ‘একাডেমিক ভবনটি নির্মিত হয়। ২০১০ সালে হুযূর ক্বিবলাহ্ (রাহ্.) এর বিশিষ্ট মুরীদ আলহাজ্ব শেখ আহমদ সওদাগর এর একক বদান্যতায় নতুন একাডেমিক ভবনের পশ্চিমাংশে ৬তলা বিশিষ্ট নতুন হিফযখানা ভবনটি নির্মিত হয়।
জামেয়া গভর্নিংবডির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শিক্ষকমন্ডলীর পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় গুণগত মান বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক শৃংখলাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জামেয়াকে মডেল মাদরাসার স্বীকৃতি প্রদান করে। ফলে এসইএসডিপির অধীনে ২০১১ সালে মডেল মাদরাসার আওতায় মাদরাসা ময়দানের উত্তরদিকে পুরাতন ভবন সংলগ্ন ৫তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক অনার্স ভবনটি নির্মিত হয়।
২০১৩ সালে পিএইচপি গ্র“পের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট দানবীর ইসলামী চিন্তাবিদ মরমী গবেষক আলহাজ্ব সূফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এর একক বদান্যতায় মাদরাসা ময়দানের উত্তরদিকে ১৩০ ফুট ঢ ৩২ ফুট সমৃদ্ধ ৩৬ কক্ষ বিশিষ্ট ৮তলা নতুন ‘একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
জামেয়া প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ব্যক্তি উদ্যোগ ও সরকারী-বেসরকারী সাহায্য-সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে একাডেমিক ভবনগুলো নির্মাণে যাঁদের অবদান রয়েছে তাঁদের সকলের প্রতি আনজুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ও জামেয়া গভর্নিংবডি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে।
শ্রেষ্ঠ ও সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া :
ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখায় ২০০১ সালে জাতীয় পর্যায়ে সরকারী শিক্ষা জরিপে জামেয়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জামেয়ার তৎকালীন অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল্ক্বাদেরী শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ও জামেয়ার ফক্বীহ্ আলহাজ্ব মাওলানা মুফতী সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে জামেয়ার অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল্ ক্বাদেরী শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এবং প্রধান ফক্বীহ্ আলহাজ্ব মাওলানা মুফতী সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে সম্মাননা সনদ ও স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ দ্বারা দেশ-বিদেশে জামেয়ার গৌরব ও খ্যাতি বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ্ পাক জামেয়ার এ গৌরব ও খ্যাতি আরো সমৃদ্ধ করুন।
অনার্স কোর্স :
মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেসিন এর দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার ফাযিল স্তরে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দেয়ার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্ঠিয়া কর্তৃক জামেয়ার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ৫ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর আবেদন করেন। তাই ২০-০৩-২০১০ তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধি দল জামেয়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে তাঁরা পরিচালনা কমিটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অধ্যক্ষের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিক্ষার সুষ্ঠু ও শৃংখলাপূর্ণ পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করে চট্টগ্রামে শুধু জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় ২ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দেন।
বিজ্ঞান বিভাগ :
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এ যুগে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মডেল মাদরাসা হিসাবে জামেয়ায় বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা সময়ের দাবী। তাই চলতি ২০১৪ সাল থেকে দাখিল স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চাল করা হয়েছে।
ছাত্র :
ছাত্র হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। ছাত্রদের জন্যই প্রতিষ্ঠান। দ্বীনী শিক্ষা ব্যতিত শুধু ইহকালনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ইনসানে কামিল হওয়া সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা অতীব গুরুত্ববহ। আল্লাহ্র অসীম রহমতে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওয়াসীলায়, হুযূর ক্বিবলাহ্র নেগাহ্ করমে জামেয়ায় ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে মেধাবী ছাত্রদের ভর্তি করানো হয়। ছাত্র বৃদ্ধির কারণে ২০০২ সালে ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণী থেকে ফাযিল পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনে সেকশন চালু করা হয়। ২০১১ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আল্ কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং আল্ হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স বিভাগ চালু করা হয়। বর্তমানে হিফ্যখানাসহ জামেয়ার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪০০০। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইয়াতীম, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন করা হয়। প্রয়োজনের তুলনায় প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা অপ্রতুল। তাই চাহিদা মিটানোর জন্যে বর্ধিত একাডেমিক ভবন, হোস্টেল ভবন, দুর্লভ কিতাব সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র বৃদ্ধি করা জরুরী। এ অবস্থায় পরিকল্পিত চাহিদা পূরণে সরকার এবং জামেয়া ও আন্জুমান শুভাঙ্খাকীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
শিক্ষা পদ্ধতি :
শিক্ষার্থীদের মেধা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে জামেয়া আহ্মদিয়া সুন্নিয়া বহুমুখী কামিল (বিশ্ববিদ্যালয়) মাদরাসায় যুগোপযোগি পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়া হয়। ইলম আমল এর সমন্বয়ের লক্ষ্যে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার তালীম তারবিয়াৎ এ গুরুত্ব দেয়া হয়। ব্যক্তি এবং সমাজ জীবন ও কর্মে ইসলামের মূল রূপরেখা সুন্নিয়াত বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রত্যেক বছর আল্লাহ্ ও রাসূলের মেহেরবানীতে কামিল হাদীস ও ফিক্বহ্ ২য় বর্ষের ছাত্ররা সহীহ্ বুখারী শরীফ ও কিতাবুল আশ্বাহ্ ওয়ান নাযায়ির সিলেবাস সম্পন্ন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছেন। সহীহ্ বুখারী শরীফ ও কিতাবুল আশ্বাহ্সহ গুরুত্বপূর্ণ কিতাবসমূহের পাঠ সম্পন্ন করতে শিক্ষকমন্ডলী বাদ যুহর, বাদ মাগরিব ও বাদ ইশা বিশেষ পাঠদান করে থাকেন। সিলেবাস সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতা ও মহানুভবতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
শিক্ষা পরিবেশ :
প্রতিদিন ক্লাশ শুরুর পূর্বে জামেয়া ময়দানে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ ও নাত এর মাধ্যমে এ্যাসেম্বলী চলাকালে ছাত্র-শিক্ষকের উপস্থিতিতে স্বর্গীয় পরিবেশের আবহ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় প্রত্যহ শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়ে থাকে। জামেয়ার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ সমুন্নত রাখা। তাই হরতাল, ধর্মঘটেও জামেয়ার প্রশাসনিক ও শ্রেণি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল :
যুগোপযোগী ও ফলপ্রসূ শ্রেণি পাঠদানসহ বিশেষ ক্লাস ব্যবস্থার ফলে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাসমূহে জামেয়ার ছাত্রদের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল হয় ।
বৃত্তি :
জামেয়ার ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণের জন্য সরকারী শিক্ষা বৃত্তিসহ বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষা-সংস্কৃতি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্ট কর্তৃক প্রতিযোগিতায় মেধা ও সাধারণ বৃত্তি লাভ করে জামেয়ার ভাবমর্যাদা সমুজ্জ্বল করে আসছে।
লাইব্রেরী :
লাইব্রেরী হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থভাণ্ডার। আন্জুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা, অধ্যক্ষের প্রচেষ্টা ও মুহাদ্দিস, মুফ্তী, মুদাররিসীনে কেরামের চাহিদার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে জামেয়ায় গড়ে উঠেছে বিশাল লাইব্রেরী। এতে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত গ্রন্থ, তাফসীর, ফিক্বহ্ ও ফাতাওয়ার দুর্লভ কিতাব, দু®প্রাপ্য রেফারেন্স বুক, এনসাইক্লোপেডিয়া ও জার্নাল সংগৃহীত আছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চালু হওয়ায় লাইব্রেরীতে যুগোপযোগি কিতাব ও গ্রন্থাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। এম ফিল ও পিএইচডি গবেষণারত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জামেয়া লাইব্রেরীর উপর নির্ভর করে থাকেন। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় আরো কিতাবাদির ব্যবস্থার জন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
আইসিটি ল্যাব ও কম্পিউটার সায়েন্স :
তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের এ যুগে কম্পিউটার শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী। শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য জামেয়ার দাখিল স্তরে ‘কম্পিউটার শিক্ষাকে সিলেবাসভুক্ত করা হয়েছে। সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োজিত কম্পিউটার শিক্ষক নিয়মিতভাবে কম্পিউটার শিক্ষা প্রদান করে আসছেন। জামেয়া মডেল মাদ্রাসার আওতাধীন হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখা উন্নয়ন প্রকল্প ২০টি কম্পিউটার সেট প্রদান করে। চট্টগ্রামের খানজাহান আলী কম্পিউটারস্ লি. এর প্রোপ্রাইটর আলহাজ্ব নূর মুহাম্মদ ও আলহাজ্ব মুশতাক আহমদ এর বদান্যতায় জামেয়ার কম্পিউটার ল্যাব সমৃদ্ধ হয়। কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থায় সহযোগিতার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদফতর ও খানজাহান আলী কম্পিউটারস্ লি. কর্তৃপক্ষের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
টাইপ প্রশিক্ষণ :
জামেয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা টাইপ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
কেতাবত বা হস্তলিপি প্রশিক্ষণ :
ছাত্রদের সুন্দর হস্তলিপি শিক্ষার জন্য কেতাবত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
ক্বিরাত, হাম্দ ও নাআত রাসূল (দ.) প্রশিক্ষণ :
বিশুদ্ধ ও সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত শিক্ষার জন্য দক্ষ ক্বারী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ক্বিরাত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ফলে জামেয়ার হিফ্যখানাহ্ ও কিতাবখানাহ্র ছাত্ররা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং সরকারীভাবে ক্বিরাত, হাম্দ, না‘আত ও আযান প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব অর্জন করে আসছে।
হিফযখানা :
জামেয়া প্রতিষ্ঠা কালে জামেয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার অধীনে ‘হিফ্যখানা’ও চালু করা হয়। অভিজ্ঞ ও দায়িত্বশীল হিফ্য শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআনুল কারীম হিফ্যরত আছে। চলতি সালে ৬০ জন ছাত্র হিফ্য সমাপ্ত করায় তাদের দস্তারে ফযীলত প্রদান করা হচ্ছে।
প্রকাশনা :
সাহিত্যের মাধ্যমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আদর্শ বিকাশ ও বিস্তারে ছাত্রদের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অনুপ্রাণিত করার লক্ষে আল্ বশীর নামে দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রতি বছর কামিল স্তরের বিদায়ী ছাত্ররা ‘আত্ তৈয়ব স্মরণিকা প্রকাশ করে আসছে। দেশ-বিদেশের দৈনিক ও জাতীয় পত্রিকা, আরবী ইংরেজী উর্দূ ও বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সাময়িকী, সুভিন্যির, ম্যাগাজিন, জার্নালে জামেয়ার স্কলার ছাত্রদের প্রবন্ধ ও কলাম প্রকাশিত হয়ে আসছে। জামেয়ার ক্বারী ও শায়ির ছাত্রদের ক্বিরাত, হাম্দ ও নাআত রাসূল (দ.) এর ক্যাসেট প্রকাশিত হয়। এ দ্বারা জামেয়ার ভাবমূর্তি বিকশিত হচ্ছে।
দেশের স্বনামধন্য মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, মুফতী ও মুদাররিসীনে কেরামের শিক্ষা দানের ফলে জামেয়া এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহত্তর দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি অর্জন করে। জামেয়ার সাবেক শায়খুল হাদীস মরহুম মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হামীদ (রাহ্.) স্মরণে ২০০৭ সালে ইল্মে দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত অন্যান্য মরহুম আসাতাজায়ে কিরামের জীবনী সম্বলিত স্মরণিকা আসলাফ-ই-জামেয়া প্রকাশিত হয়।
গাউসে যামান মুর্শিদে বরহক্ব আলহাজ্ব শাহ্ সূফী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাহ্.) এর নির্দেশে মরহুম আলহাজ্ব ইউনূস কোম্পানী উর্দূ তরজমাহ্ সম্বলিত মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (দ.) প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
সাপ্তাহিক জল্সাহ্ :
ছাত্রদের যুক্তিশীল ও বাগ্মীতায় পারদর্শী করার লক্ষ্যে সাপ্তাহিক জল্সাহ্ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিষয় ভিত্তিক তথ্য সম্বলিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ছাত্ররা অংশ নিয়ে থাকে। এ থেকে ইসলামের মৌলিক আক্বীদাহ্গত বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্ররা ক্রমশঃ দক্ষ তার্কিক ও যুক্তিবাদী হয়ে উঠছে।
প্রাত্যহিক বিশেষ দুআ :
আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাআত আক্বীদাহ্ বিস্তারের মারকায্ ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসায় দান-খায়রাতসহ সাহায্য-সহযোগিতাকারীদের উভয় জাহানের কল্যাণে প্রত্যহ ফজর নামাযের পর দায়েম নাজির জামেয়া জামে মসজিদ এবং প্রতি সোমবার আলমগীর খান্ক্বাহ্ শরীফে খত্মে গাউসিয়া শরীফ, যিক্র-আযকার ও সালাত-সালাম শেষে দুআ করা হয়। তাই মান্নতের গরু, ছাগল, যাকাত-ফিত্রা, কুরবানীর পশুর চামড়া, চামড়ার বিক্রয়লব্দ অর্থ, ধান-চাউল ও অন্যান্য নযর নেওয়ায জামেয়ায় দান করে উভয় জাহানের কামিয়াবীর জন্য আউলিয়ায়ে কেরামের নেগাহ্ করম হাসিল করুন।
১. নতুন ছাত্রাবাস : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্ররা জামেয়ায় অধ্যয়নে প্রত্যাশী। তাই ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে মেধাবী ছাত্ররা জামেয়ায় ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু ছাত্রাবাসের অবস্থান স্বল্পতার কারণে গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের হোস্টেল সুবিধা প্রদান সম্ভব হয় না। তাই ভর্তি হওয়া ছাত্রদের বিড়ম্বনা নিরসনের জন্য ‘নতুন ছাত্রাবাস’ নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সীমিত সাধ্যের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও একটি ‘পূর্ণাঙ্গ ছাত্রাবাস গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। একটি সুপরিসর ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্যে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
২. শিক্ষক আবাসন : আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য উন্নত আবাসিক ব্যবস্থা থাকে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে এটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ। জামেয়া শিক্ষা ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করলেও শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ায় আমরা দুঃখিত। তাই জামেয়াকে সার্বিকভাবে আদর্শ প্রতিষ্ঠানে রূপায়নে একটি ‘শিক্ষক আবাসিক ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর বাস্তবায়নে আপনাদের সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করছি।
৩. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
বেসরকারী ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
উন্মুক্ত গ্রন্থাগারের জন্যে পৃথক ভবন নির্মাণ।
কেন্দ্রীয় পরীক্ষার জন্য পৃথক ক্যাম্পাস নির্মাণ।
কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য পৃথক ফ্যাকাল্টি নির্মাণ।
একাডেমিক ভবনের ছয় তলার লাইব্রেরীতে উঠা- নামার জন্য লিফ্ট ব্যবস্থা।
অনার্স কোর্সের জন্য পৃথক ফ্যাকাল্টি ও বিভাগীয় অফিস নির্মাণ।
শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে গবেষণা সেল স্থাপন।
আলাদা অডিটরিয়াম নির্মাণ।
[তথ্যসূত্র. বার্ষিক রিপোর্ট: ২০১৩-২০১৪ থেকে ২০১৬-২০১৭ পর্যন্ত]