রাসূলে করীমের শুভাগমন সমগ্র সৃষ্টির জন্য কল্যাণ স্বরূপ
স্মরণকালের বৃহত্তম জশ্নে জুলুস – নবী প্রেমিকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সমগ্র চট্টগ্রাম
রাসূলে করীমের শুভাগমন সমগ্র সৃষ্টির জন্য কল্যাণ স্বরূপ
– পীর সাবির শাহ্ (মা.জি.আ) >
পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে আন্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র ব্যবস্থাপনায় ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় চট্টগ্রামে সম্পন্ন হলো স্মরণকালের বৃহত্তম জশ্নে জুলুস। ১২ই রবিউল আউয়াল, ২৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, সকাল ৯টায় আলমগীর খানক্বাহ্ শরীফ থেকে বের হয়ে এই জুলুস চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা ময়দানে এসে বিশাল মাহফিল, মীলাদ-কিয়াম ও মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। আনজুমান ট্রাস্ট আয়োজিত এবারের জশ্নে জুলুসটি ছিল ৫১তম আয়োজন। ১৯৭৪ (১৩৯৪ হিজরি) বলুয়ারদীঘি খানকাহ্ শরীফ থেকে ছিল এর সূচনা। এবারের জুলুসে যোগদান করেছে অন্তত ৫০/৬০ লাখ মানুষ। জুলুস উপলক্ষে সমগ্র চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে ছিল উৎসাহ উদ্দীপনা। সমগ্র চট্টগ্রামকে এ উপলক্ষে আগে থেকে সুসজ্জিত ও আলোকিত করা হয়। সবার মুখে ছিল হামদ, না’ত, সালাত-সালাম আর আল্লাহু আকবর-এয়া রাসুলাল্লাহ্ ধ্বনি। জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের এই অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করতে শহরের দালান-কোঠা, ফ্লাইওভার গুলোতে দেখা যায় নারী-শিশু সহ সকল শ্রেণীর মানুষের উৎসাহ-উদ্দিপনা। তাঁরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন জুলুস যাত্রী এবং এর নেতৃত্বদানকারী হুজুর কেবলা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মাদ সাবির শাহ্ ও শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মাদ কাসেম শাহ্কে। সকাল ৯টা থেকে হুজুর কেবলা সাবির শাহ্’র নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহরে জুলুস এবং জামেয়া ময়দানে চলতে থাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের বক্তব্য। তাঁরা জশ্নে জুলুসের মতো এমন একটি পরিশীলিত শরিয়তসম্মত ইসলামি সংস্কৃতি প্রবর্ত্তনের জন্য গাউসে জামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মাদ তৈয়্যব শাহ্ রহমাতুল্লাহি আলায়হি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ওলামায়ে কেরাম বলেন, হযরত তৈয়্যব শাহ্ জশ্নে জুলুস প্রবর্ত্তন করে ঈদে মীলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আবেদনকে যেমনি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন, ঠিক তেমনি গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র মতো মানবিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের মানুষকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পাশে থেকে নজিরবিহীন সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। রাহনুমায়ে শরিয়ত ও ত্বরিকত, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মাদ তাহের শাহ্ হুজুরের সভাপতিত্বে জুলুস ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাপনী মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাবির শাহ্ বলেন, ক্বোরআনে পাকে আমাদের রাসুলকে শুধু মুসলমানদের জন্য নন বরং মুসলিম -অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত বা কল্যাণ বলে উল্লেখ করে তাঁর মীলাদের প্রধান বাণীর তাৎপর্য হলো সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। উগ্রতা এবং জঙ্গিবাদ কখনো ইসলামের নামে চালানো যাবে না। ইসলামের উদ্দেশ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা। হানাহানি ও জবরদস্তি করে ইসলামের বদনাম যেন প্রশ্রয় না পায় সেদিক বিশ্ব মুসলিমকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আজ চট্টগ্রামে বিশ্বের সেরা জশ্নে জুলুস উদযাপিত হয়েছে। হিজরতের সময়ে মদিনার আনসার সাহাবারা যেভাবে কাসিদাহ্ গেয়ে গেয়ে জুলুসের মাধ্যমে নবী করিমকে মদিনায় স্বাগত জানিয়েছেন ঠিক সেই সুন্নাতের অনুসরণ করেছেন আজ চট্টগ্রামের নবী প্রেমিক জনতা। পবিত্র ক্বোরআন-হাদীসের আলোকে এরূপ ইশক্ব রসূলের বহিঃপ্রকাশের কারণে বাংলাদেশ দিন দিন উন্নতির দিকে এগুচ্ছে উল্লেখ করেন। তিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এ জুলুস স্থান পেলে শুধু বাংলাদেশ বা চট্টগ্রাম নয় গিনেস বুক কতৃপক্ষও সম্মানিত হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মু.জি.আ.), চ.সি.ক. মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, পিএইচপি ফ্যামিলি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সূফী মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ডা. শাহাদত হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন- আন্জুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন ও সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন তার বক্তব্যে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী জাতীয়ভাবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করতে সরকারী নির্দেশনা প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও জুলুসে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, পুলিশ প্রশাসন, সকল গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাবসহ সকল মিডিয়ার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হুজুর কিবলা তাহের শাহ মুদ্দাযিল্লুহুল আলী বাংলার জমিনে তাশরীফ এনে এহসান করেছেন উল্লেখ করে আওলাদে রাসুলের নেতৃত্বে জশ্নে জুলুস সফল করায় তিনি সর্বস্থরের মুসলমানদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্জুমান ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেন সোহেল, এডিশনাল সেক্রেটারী আলহাজ্ব মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব সিরাজুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এস.এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী এনামুল হক বাচ্চু, বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, আনজুুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা আবদুল মান্নান, গাউসিয়া কমিটি জামেয়ার আহমদিয়া সুনিèয়া কামিল মাদ্রাসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মহসিন মুহাম্মদ ইয়াহিয়া খাঁন, জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী আবদুল আলীম রেজভী, আনজুমান ট্রাস্ট’র সদস্য-মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ সাহাজাদ ইবনে দিদার, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ আবদুল হামিদ, নূর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মুহাম্মদ নুরুল আমিন, আশেক রসুল খান বাবু, মোহাম্মদ হোসেন খোকন।
চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটির সভাপতি তছকীর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, উত্তর জেলার সভাপতি জমির উদ্দিন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি কমরুদ্দিন সবুর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবীব উল্লাহ মাস্টার।
মাওলানা হাফেজ আনিসুজ্জামান ও মাওলানা আবুল হাসেম আলকাদেরীর সঞ্চালনায় মাহফিলে তাকরীর করেন, আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মইনুদ্দিন আশরাফী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, যুগ্ম-মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ কাজী মুহাম্মদ আবদুল আলীম রিজভী, সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ অসিয়র রহমান, মুফতি আল্লামা কাজী আব্দুল ওয়াজেদ, শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ সোলায়মান আনসারী, মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আল কাদেরী, মুহাদ্দিস আল্লামা জসীম উদ্দিন আযহারী, ঢাকা কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলীয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, অধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম রিজভী, অধ্যক্ষ আল্লামা আবু তৈয়ব চৌধুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কালাম আমিরী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা আব্দুল আজিজ আনোয়ারী প্রমুখ। হুজুর কেবলা আল্ল¬¬ামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্্ (মা. জি. আ.) বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি, সমৃদ্ধি ও উনèতি কামনা করে দো’য়া ও মুনাজাত করেন।
ঢাকায় জশনে জুলুসে আল্লামা সাবির শাহ্ (মু.জি.আ.)
আদর্শ মানুষ গড়তে মহানবীর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই
সিরিকোট দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ বলেন, নৈতিক শিক্ষা ও যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশীলনের অভাবে সমাজে খুন-খারাবি, ঘুষ-দুর্নীতি, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি লেগেই আছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও শিক্ষার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এ শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং দুনিয়া-আখিরাতে শান্তি নসিব হয়। আদর্শ মানুষ গড়তে মহানবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ঢাকার উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার ঢাকার মুহাম্মদপুরে জশনে জুলুস র্যালী শেষে কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মু.জি.আ.) এ কথাগুলো বলেন। র্যালিটি ঢাকার মুহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসা হতে আরম্ভ হয়ে শাহজাহান রোড, ইকবাল রোড, আসাদ এভিনিউ, রিং রোড, শ্যামলী সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মাদরাসা ময়দানে গিয়ে বিশাল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আওলাদে রসূল, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মু.জি.আ.)। ড. মাওলানা মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহযাদা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসিম শাহ্ (মু.জি.আ.)। তিনি বলেন রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণেই মূলত পৃথিবীতে অশান্তি নেমে এসেছে। যারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নবী অলিদের প্রতি বিদ্বেষী করে তোলে হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামী অনুষ্ঠানমালা যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে বরাত, শবে কদর ও ফাতেহা ইত্যাদির বিরোধিতা করে, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।
হযরত সাবির শাহ্ (মু.জি.আ.) আরও বলেন, আল্লাহ্ পাকের নেয়ামত সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র সৃষ্টি। তাঁর সৃষ্টিতে ধন্য হয়েছে সমগ্র সৃষ্টিজগত। আল্লাহর রহমত ও করুণাপ্রাপ্তির কারণে খুশি উদযাপন করা কোরআনের নির্দেশ। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম পালন করলে নিশ্চিতভাবে মহান রবের দরবারে উভয় জাহানে পুরস্কৃত হবেন। মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ঢাকার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্। বক্তব্য রাখেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা আনজুমানের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক। বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ মুদ্দাযিল্লুহুল আলী।
বিভিন্নস্থানে জশনে জুলুস উদযাপন
সৈয়দপুর কাদেরিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসা
সৈয়দপুরস্থ কাদেরিয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদরাসায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় মাসিক গেয়ারভি শরীফ এবং পরদিন পালিত হয় মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জাশনে জুলুস। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, সৈয়দপুর উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুরস্থ কাদেরিয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ জাশনে জুলুসের আয়োজন হয় সৈয়দপুর শহরের এই প্রাণকেন্দ্রে। এতে উপস্থিত ছিলেন হাজার-হাজার আশেকে রাসূল। হাজারো কণ্ঠে সালাতো-সালামে মুখরিত হয় রেলওয়ে মাঠ। জশনে জুলুসে সদারত করেন ভারত থেকে আগত খান্দানে মাখদুম আশরাফ সৈয়দ কালিম আশরাফ আশরাফী আল জিলানী ও সৈয়দ জামাল আশরাফ আশরাফী জিলানী।
নারায়ণগঞ্জ জামেয়া গাউছিয়া
তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদরাসা
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্ট পরিচালিত, আল্লামা খাজা বাকীবিল্লাহ আল কাদেরী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত, নারায়ণগঞ্জ বন্দর- (কবরস্থান রোড সংলগ্ন) জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদরাসা থেকে ১২ রবিউল আওয়াল (২৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার) জশনে জুলুছ ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হয়েছে। হযরত হাজী সালেহ বাবা ইয়ামেনী (রহ.) এর মাজার শরীফ থেকে সকাল ৯ টায় জশনে জুলুছ বের হয়ে বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামেয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদরাসায় জমায়েত হয়। উক্ত জশনে জুলুছে নেতৃত্ব দেন জামেয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ। মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম বাদশা এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শায়খ সৈয়দ হাসান আল-আযহারী, আরো বক্তব্য রাখেন শায়খ আব্দুল মোস্তফা রাহিম আল আজহারী, আল্লামা খাজা বাকি বিল্লাহ আল কাদেরী (রহ.)’র ছোট সাহেবজাদা হাফেজ গোলাম পাঞ্জাতন আল আজহারী, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব আবুল কাউছার আশা, মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের অন্যতম সদস্য আবু সাঈদ কাদেরী, হারুন শেখ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ চান মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবু নাসের মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর জেলা গাউসিয়া কমিটি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে সর্ব বৃহৎ জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জুলুসে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি। সকাল ৮ঘটিকায় দালাল বাজার খানকা-এ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া প্রাঙ্গনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মোহাম্মদ নুর নবী চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সহ- সভাপতি মোহাম্মদ খোয়াজ। রামগতি উপজেলার সভাপতি ম্ওালানা আবদুল মোমিন জিহাদী, রামগঞ্জ উপজেলার সহ-সভাপতি মাওলানা গোলাম রাব্বানী কাঞ্চনপুরী, রায়পুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান রিজবী, মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মালেক প্রমুখ।
জুলুস শেষে দালাল বাজারস্থ খানকা-এ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া প্রাঙ্গনে সমাপনী মাহফিল, মিলাদ কেয়াম, দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
জেলা গাউসিয়া কমিটির অর্থ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত জুলুসে আখেরী মোনাজাত করেন হাফেজ মাওলানা সাদেক ফারুকী, আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা গাউসিয়া কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবুল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ এম এ মোমিন, সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ ফরিদ আলম, মাওলানা মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মদ মুতাছিম বিল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ।
কুতুবদিয়া উপজেলা
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে কুতুব আউলিয়া মাজার শরীফ যিয়ারতের মাধ্যমে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন, বড়ঘোপ ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কুতুব আউলিয়া মাজার শরীফে এসে জশনে জুলুস সমাপ্ত হয়। উক্ত জশনে জুলুছে হামদে বারি তা‘আলা, নাতে রসূল, ইসলামী গজল ও নারায়ে তাকবির, নারায়ে রেসালত-এর মাধ্যমে নবীজির শান বর্ণিত হয়। গাজী জাফর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জুলুসে বহু নবী প্রেমিক সুন্নী জনতা শরিক ছিলেন।
বিভিন্ন স্থানে পবিত্র মিলাদুন্নবী মাহফিল ও সুন্নি কনফারেন্সে সাবির শাহ (মু.জি.আ.)
আল্লাহ ও রাসূল’র সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের ওপর
অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে
বোয়ালখালী কধুরখীলে সুন্নী কনফারেন্স
বোয়ালখালী কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে জশনে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে ‘নেছারে মদিনা সুন্নী কনফারেন্স’ গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান ছিলেন আওলাদে রাসূল, পীরে বাঙ্গাল, মুর্শিদে বরহক, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মা. জি. আ.)। তিনি বলেন, আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের ওপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। হযরাতে কেরাম আমাদেরকে জামেয়া দিয়েছেন, গাউসিয়া কমিটি দিয়েছেন, জশনে জুলুসে ঈদ-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন, মাসিক তরজুমান, দাওয়াতুল খায়র, মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুলসহ বহু নিয়ামত দিয়েছেন, আর কি চাই আমাদের? এই নিয়ামত যথাযথ কদর করলে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াব নিশ্চিত বলে পীর সাবির শাহ উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, তাওবাকারীর গুনাহ মাফ করে দেন আল্লাহ। তবে, অন্যের হক্ব আত্মসাৎ ও জুলুমকারীর গুনাহ মাফ হবে না। যার হক্ব তাকে মিটিয়ে দিতে হবে, জুলুমের শিকারদের কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে। দুনিয়াতে রূহ ও শরীর যতদিন থাকবে ততদিন আল্লহর এবাদত, নবীজি (দ.)’র সুন্নাহ ও মুহাব্বত অন্তরে লালন করে সৃষ্টির সেবায় নিজেদের সর্বদা নিয়জিত রাখতে হবে। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ বোয়ালখালী উপজেলা, পৌরসভা ও তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুলতান মুস্তফা কমপ্লেক্স’র যৌথ উদ্যোগে সুন্নী কনফারেন্স প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কমপ্লেক্সের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকের সভাপতিত্বে এবং গাউসিয়া কমিটি বোয়ালখালী উপজেলা সভাপতি ও কনফারেন্সের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম চৌধুরী মুন্সি ও মাওলানা ফখরুদ্দিন’র যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ারুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ হামিদ, জামেয়ার মুহাদ্দিস মওলানা মুফতি জসিম উদ্দিন আল আযহারী, গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জানে আলম, দক্ষিণ জেলা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর, মাওলানা মনিরুজ্জামান আলকাদেরী, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, পৌর মেয়র মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম জহুর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিউল আলম শেফু, তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সিলতানুল মুস্তফা কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, মাওলানা মুফতি ফরিদুল আলম, গাউসিয়া কমিটি দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কাজী ওবায়দুল হল হক্কানী, যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ সালাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল মনছুর, উপজেলা সহ সভাপতি অধ্যাপক আবুল মুনছুর দৌলতী, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল হক চিশতি, উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম মমতাজুল ইসলাম, কাজী জলিল উদ্দিন, নুরুল আমিন খান, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ইব্রাহিম, আলহাজ্ব নুরনবী, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
পটিয়ায় ছাবেরিয়া খলিলিয়া
মাদরাসার সালানা জলসা
নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশীলনের অভাবে সমাজে খুন-খারাবি, ঘুষ-দুর্নীতি, ইত্যাদি লেগেই আছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়- প্রিয়নবীর আদর্শ ও শিক্ষার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধ হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আদর্শ ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। গত ৭ অক্টোবর পশ্চিম পটিয়া পূর্ব কৈয়গ্রাম ছাবেরিয়া খলিলীয়া ইসলামিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার ৪২তম সালনা জলসায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওলাদে রাসূল, রাহনুমায়ে শরিয়ত ও ত্বরিকত পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মা.জি.আ.) উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালনা জলসায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমান ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, সদস্য আশেক রসূল খান বাবু, সাদেক হোসেন পাপ্পু, কেডিএস গ্রুপের পরিচালক ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আহমদুল হক আহমদ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ কমিশনার, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাহবুবুল হক খান, গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর, সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল মনছুর, পশ্চিম পটিয়ার শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ ছগির চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, ৭নং জিরি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টিপু, মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আলহাজ্ব মাওলানা আহমদ কবির রেজভী, সহ সুপার মাওলানা নাসির উদ্দীন, আলহাজ্ব শামসুল আলম, এনামুল হক এনাম, মুহাম্মদ হারুন, শিমুল, নূর সোবহান চৌধুরী, বাদশা প্রমুখ।
রাউজানে রহমাতুল্লিল আলামীন সুন্নি কনফারেন্স
পীরে বাঙ্গাল রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মু.জি.আ.) বলেছেন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামার আদর্শ বাস্তবায়ন ও তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ভালবাসার মাধ্যমে সত্যিকারের মুমিন হওয়া যাবে।
গাউসিয়া কমিটি রাউজান উপজেলা উত্তর শাখার ব্যবস্থাপনায় রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে রহমাতুল্লিল আলামিন কনফারেন্সে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাউসিয়া কমিটি রাউজান উত্তরের প্রধান উপদেষ্টা ও রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাউসিয়া কমিটি রাউজান উপজেলা শাখার সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, জামেয়ার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ কমিশনার, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী মুহাম্মদ ইকবাল, আলহাজ্ব সৈয়দ হোসেন কোম্পানী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, গাউসিয়া কমিটি উত্তর জেলা ও রাউজান উপজেলা উত্তরের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ইয়াসিন হোসাইন হায়দারী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান, মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, মাওলানা ইমরান হাসান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা রফিক আহমদ ওসমানি, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী, মুফতি গোলাম কিবরিয়া, মুফতি আহমদুল্লাহ্ ফোরকান খান, কামাল উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, মঈনুদ্দিন মোস্তফা, নুরুল আমিন, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, শাহযাদা আসাদ উল্লাহ্ প্রমুখ।
চন্দনাইশে রাহমাতুল্লিল আলামীন কনফারেন্স
আওলাদে রসূল, পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (ম.জি.আ.) বলেছেন, একজন সত্যিকার তরিকতপন্থীকে ইসলামের অপরিহার্য ইবাদত ও আমলসমূহ নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। পাশাপাশি হক্কুল ইবাদ মানুষের সেবায়ও আত্মনিবেদিত থাকতে হবে। আল্লাহ্ পাকের ইবাদত, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’ উপর দরূদ পাঠসহ নানা ইবাদত আমলের সাথে সাথে দুস্থের সেবা ও সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদনই হচ্ছে শরিয়ত-তরিকতের মূল নির্যাস। তিনি সৎভাবে জীবন-যাপন, ঈমানি জিন্দেগী গঠনসহ নিষ্ঠার সঙ্গে তরিকতের ছবক আদায়ের মাধ্যমে খাঁটি ঈমানদার হওয়ার তাগিদ দেন। গত ৭ অক্টোবর গাউসিয়া কমিটি চন্দনাইশ উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় বরকল সূচিয়া জহির ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন মাঠে রাহমাতুল্লিল আলামীন কনফারেন্সে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ জেলা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দীন সবুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ মেহমান ছিলেন চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আনজুমান ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন। দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ কমিশনার, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, মহাসচিব মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আলী হোসাইন, সৈয়দ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ্ সমরকন্দী, মীর মুহাম্মদ মহিউদ্দীন, মুহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ্ খতিবি প্রমুখ। আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, এড. মোজাম্মেল ফারুকী ও জিএম শাহাদত হোসাইন মানিকের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফুজ্জমান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ্ খলিলুর রহমান নিজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা হারুন উর রশিদ আশরাফী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রেজভী, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মুহাম্মদ জুলফিকার আলী চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মাওলানা হাসান আল আজহারী, অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আজহারী, মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম খান আলকাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল গফুর খান, এটিএম আবদুস্ সাত্তার, মাওলানা মামুন উদ্দীন সিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মাওলানা গিয়াস উদ্দীন কাদেরী, মাওলানা মঈনুদ্দীন কাদেরী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। গাউসিয়া কমিটি দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্, মুহাম্মদ ইদ্রীস মুন্সি, হাজী মুহাম্মদ শের আলী খান, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক তালুকদার, মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন রুপন, মুহাম্মদ সরোয়ার উদ্দীন, হাজী মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, মুহাম্মদ সোহেল রানা, শাহ্ নেওয়াজ চৌধুরী শুভ, মোরশেদ আলম শিকদার টিপু, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চন্দ্রঘোনা রাহমাতুল্লিল আলামীন কনফারেন্স
রাঙ্গুনিয়ায় রাহমাতুল্লিল আলামীন কনফারেন্স-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সাবির শাহ্ (মু.জি.আ.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। তাঁর জীবন দর্শনে রয়েছে মানবজাতির জন্য মুক্তির একমাত্র পাথেয়। তিনি সবাইকে আল্লাহ্ ও রাসূলের প্রদর্শিত পথে জীবন গড়ার আহ্বান জানান। চন্দ্রঘোনা মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (¯œাতক) মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও উপজেলা দক্ষিণ মধ্যম গাউসিয়া কমিটি কনফারেন্সের আয়োজন করে। আলহাজ্ব আবদুল মোনাফ সিকদারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আলহাজ্ব মাহবূব ছাফা। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমান ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী আলহাজ্ব মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব সিরাজুল হক প্রমুখ।
আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মা. জি. আ.), আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ্ ও শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্কে ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ খানকাহ্ শরীফে ও বিমানবন্দরে বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন
আওলাদে রাসূল, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, মুর্শিদে বরহক্ব, হাদীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত, হযরতুল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মা. জি. আ.), পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ্ (মা. জি. আ.) এবং সাহাজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা. জি. আ.) আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুনিèয়া ট্রাস্ট’র ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) এর জশ্নে জুলুস উদযাপন ও নেতৃত¦দানের লক্ষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর’২৩ বাংলাদেশ শুভাগমন করেন। ৫১ তম জশ্নে জুলুসে নেতৃত¦দানসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম’র বিভিন্নস্থানে অনুষ্ঠিত মাহফিলে শরিক হন। হুজুর কেবলাবৃন্দকে ১১ অক্টোবর ২০২৩ ইং ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় এবং হযরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান্দরে বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। হুজুর কেবলায়ে আলম বিদায় লগেè বাংলাদেশসহ সমগ্র উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন এবং হুজুর কেবলাবৃন্দ সন্ধা ৭-৫০ মিনিটে আমিরাত ফøাইটযোগে পাকিস্তান সিরিকোট শরীফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।
হুজুর কেবলায়ে আলমকে মোহাম্মদপুরস্থ খানকাহ্ শরীফে ও হযরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপনকালে উপস্থিত ছিলেন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারী জেনারেল মুাহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী মুাহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী মুাহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী এস.এম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী মুহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, আনজুমান ঢাকা শাখার চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সেক্রেটারী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মুফতি আবুল কাসেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, আনজুমান ট্রাস্ট’র সদস্য- তছকির আহমদ, মুহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, মুহাম্মদ সাদেক হোসেন পাপ্পু, মুহাম্মদ আবদুল মালেক বুলবুল, আশেক রসুল খান বাবু, মোহাম্মদ হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক খান, গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর’র সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মুনèা, মাওলানা মুহাম্মদ মনির উদ্দিন সোহেল, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জমির উদ্দিন মাস্টার, দক্ষিণ জেলার সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
অক্সিজেন শীতলঝর্ণা এলাকা মসজিদে রহমানিয়া
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে মিলাদুন্নবী মাহফিল বায়েজিদ অক্সিজেনস্থ শীতলঝর্ণা মসজিদ-এ রহমানিয়া গাউসিয়ায় গত ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে মাহফিলে তকরির পেশ করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার সিনিয়র আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুর রহমান আলকাদেরী, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন আল কাদেরী, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান হোসাইন কাদেরী প্রমুখ। বক্তাগণ প্রিয়নবীর চরিত্র, আদর্শ অনুসরণের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলমানদের বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের কল্যাণ ও মুক্তি কামনায় মুনাজাত করেন অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী।
গাউসিয়া কমিটি কুলগাঁও পরদাইশ চৌধুরী মসজিদ শাখা
গাউসিয়া কমিটি বায়েজিদ থানাধীন উত্তর কুলগাঁও জালালাবাদ পরদাইশ চৌধুরী জামে মসজিদ শাখার উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। সমাপনী দিনে মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা যুব কাফেলার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী আলকাদেরী। প্রধান আলোচক ছিলেন আল্লামা মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরী। মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহানবী (দ.)’র দুনিয়ায় শুভ আগমন মানবজাতিসহ সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নিয়ামত ও অনুগ্রহ স্বরূপ। তাঁর শুভ আগমনে পৃথিবী থেকে আঁধার নৈরাজ্য ও যাবতীয় বর্বরতার অবসান ঘটেছে।
মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ফরিদুল আলম রেজভী, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেজভী, মাওলানা মুখতার আহমদ রেজভী, মাওলানা আইয়ুব আলী, মাওলানা আলী আহমদ কাদেরী, হাফেজ ইসমাঈল, মাওলানা মাহমুদুর রহমান কাদেরী, হাফেজ তাওরীত রেজা, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গাউসিয়া কমিটির সভাপতি সামসুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, কনফারেন্স প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক হাজী মুহাম্মদ হোসেন, সদস্য সচিব, শহীদ উল্লাহ, উপস্থিত ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, সেলিম মাহমুদ, ডাক্তার তাহসিন মোরশেদ, ওয়াহিদুল আলম বাবু, বদিউল আলম, রেজাউল করিম, আনোয়ার রেজা প্রমুখ।
বোয়ালখালী আহলা দরবার শরীফ
বোয়ালখালীর আহলা দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে বিশ্বনবী, হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র দুনিয়ায় আগমন বেলাদত শরীফ উপলক্ষে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিল উদযাপিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল খতমে কোরআন, কেরাত, হামদ-নাত, ইসলামী গজল, দরুদ শরীফ, জিকরে ইলাহী, নবীজির জীবনী আলোচনা।
এতে ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, মুসলিম সমাজকে আল্লাহ্ রসূল প্রদির্শত সঠিক পথে চলতে হবে এবং আল্লাহকে বেশি ভয় করতে হবে। প্রিয়নবীজিকে মহব্বত করতে হবে। মাহফিল শেষে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত করেন আহলা দরবার শরীফের শাহযাদা মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
গাউসিয়া কমিটি পটিয়া ছনহরা
ইউনিয়ন শাখার কাউন্সিল
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল আলমদারপাড়া তৈয়্যবিয়া আজিজিয়া রাবেয়া কামাল সুন্নিয়া মাদরাসারয় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান পর্যবেক্ষক ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ্ মাস্টার, দক্ষিণ জেলা প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন গাউসিয়া কমিটি পটিয়া উপজেলার সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম (শামিম), সহ নির্বাচন কমিশনার ডা. আবু ছৈয়দ, নির্বাচন কমিশনার মাওলানা নজির আহমদ, মুহাম্মদ আবু নাছের, হাজী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ জাগির হোসেন মেম্বার, মুহাম্মদ নুরুল আবছার, মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মুহাম্মদ আবুল হোসেন। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে মুহাম্মদ আব্দুল গণি তালুকদারকে সভাপতি ও মুহাম্মদ জাফর আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫৮ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি পরিষদ গঠন করা হয়।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা বন্ধে জাতিসংঘ এবং ও,আই,সি,কে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
-গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও অবরোধের প্রতিবাদ, মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস দখল মুক্ত করার দাবিতে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর উদ্যোগে গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ¦ তছকির আহমদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধক ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, প্রধান অতিথি ছিলেন আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, প্রধান বক্তা ছিলেন গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল হক খান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামেউল আখতার চৌধুরী, মাস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, গাউসিয়া কমিটি মহানগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব খাইর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাসান, মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন সোহেল, মকবুল আহমদ খান, হাজী সেকান্দর মিয়া, আলহাজ¦ সাবের আহমদ, হাজী আবুল বশর, হাজী ইলিয়াস মুন্সী, সাহাব উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মাওলানা সালামত আলী, খন্দকার ইরশাদুল আলম হীরা, আবু নাছের মুহাম্মদ তৈয়ব আলী, ফয়েজুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুল মালেক, আইয়ুব আলী, রেজাউল হোসেন জসিম, মাওলানা ইউনুস তৈয়বী, শাহাদাত হোসেন, সিদ্দিকুল ইসলাম, সাগির আলম, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মানিক, জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন, ইমতিয়াজ উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, সুলতান উদ্দিন বেলাল প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন ৭৫ বছর ধরে ইসরাইলী সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর জুলুম অত্যাচার ও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল পর্যায়ক্রমে ফিলিস্তিনে যে নরকীয় তান্ডব করে যাচ্ছে সে বিষয়ে জাতিসংঘ কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা জাতিসংঘ এবং ও.আই.সিকে অতি সত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা আরোও বলেন- চলমান এ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে গোটা বিশ্ববাসীর অপূরনীয় ক্ষতি ডেকে আনবে। যুদ্ধ কোন সমাধান নয়। আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি জোর দাবি জানান। মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের শান্তিউন্নতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ ইসরায়েলের সৃষ্ট এ সংকটের স্থায়ী সমাধান জরুরি। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন চলতি যুদ্ধ বন্ধ করা। অতঃপর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসরায়েলের সব দখলকৃত এলাকা মুক্ত করা। এসব নায্যদাবি আদায়ে সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানকে সোচ্ছার হবার আহবান জানান। সেসাথে জাতিসংঘ এবং ও.আই.সিকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। সমাবেশের শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর কদম মোবারক জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
শোক সংবাদ
আনজুমান ট্রাস্ট’র সদস্য মুহাম্মদ আবদুর রবের ইন্তেকাল
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম’র উপদেষ্টা পর্ষদের সম্মানিত সদস্য, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ মোসÍফা আমিনের পিতা আলহাজ¦ মুহাম্মদ আবদুর রব গত ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৩-৩০ মিনিটে বার্দ্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। তিনি আওলাদে রাসূল, গাউসে জামান, হযরতুলহাজ¦ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)’র মুরীদ ছিলেন। মরহুমের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী ২ ছেলে, ৫ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। মরহুমের ১ম নামাজে জানাযা ওইদিন সকাল ১১টায় বিআরটিসি ফলমন্ডিতে এবং ২য় নামাজে জানাযা বাদ যোহর চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুনিèয়া কামিল মাদ্রাসা ময়দানে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আবদুল আলিম রেজভী’র ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরহুমকে আলমগীর খানকাহ্-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া সংলগ্ল কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমের ইন্তেকালে আনজুমান ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আমির হোসেন সোহেল, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মনজুর আলম মনজু, সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী এস.এম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ‘র চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, মহাসচিব মুহাম্মদ সাহাজাদ ইবনে দিদার, আনজুমান সদস্য মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ নূরুল আমিন, শেখ নাসির উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ আলী, লোকমান হাকিম মোহাম্মদ ইব্রাহীম, নূর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মুহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম, তসকির আহমেদ, মুহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, মুহাম্মদ সাদেক হোসেন পাপ্পু, মুহাম্মদ মাহাবুব ছফা, আশেকে রাসুল খান বাবু, মোহাম্মদ হোসেন খোকন ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক খান, গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মুনèা। জামেয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, আনজুমান ও মাসিক তরজুমান অফিসের সর্বসÍরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
চট্টগ্রাম জামেয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. সরওয়ার উদ্দিনের মায়ের ইন্তেকাল
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিনের মাতা দেলোয়ারা বেগম গত ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১০ টায় ৭৮ বছর বয়সে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর ইন্তেকালে জামেয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। মরহুমা দেলোয়ারা বেগম এর ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসার হল রুমে শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুর-১২টা হতে খতমে কুরআন মজিদ, খতমে তাহলীল শরীফ, ফাতেহা শরীফ ও দোয়া- মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। শেষে মরহুমার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মুনাজাত করেন- জামেয়া মহিলা মাদরাসার আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা মুহাম্মদ হামেদ রেযা নঈমী।
মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এর সম্মানিত সদস্য মধ্য মাদার্শাস্থ খানকাহ এ কাদেরিয়া তৈয়বিয়া তাহেরিয়া কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন এর ছোট ভাই মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন (নেজাম) গত ৩০শে আগস্ট ২৩ খ্রীঃ ইন্তেকাল করেন।
তাঁর ইন্তেকালে খানকাহ কমিটির সেক্রেটারি এবং গাউসিয়া কমিটি হাটহাজারী (পূর্ব) থানার সভাপতি গাজী মুহাম্মদ লোকমান, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদদীন চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মাষ্টার, দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মুহাম্মদ সেকান্দর হোসেন মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুস সবুর, বুড়িশ্চর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইকবাল হোসন সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল হক মানিক, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা ছৈয়দ পেয়ার মুহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মাষ্টার, শিকারপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ছৈয়দ মুহাম্মদ জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন শাহেদ সহ থানা ও আওতাধীন ইউনিয়ন সমূহের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মাস্টার মুহাম্মদ নুরুছাফা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পিএইচডি গবেষক আলহাজ্ব এম.এ হোসাইনের পিতা হাটহাজারী ফরহাদাবাদ মুন্সী বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাস্টার মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা (৭৮) ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন। মরহুমের ১ম নামাজে জানাযা জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে, ২য় জানাযা ৫ অক্টোবর বাদে আছর কাটিরহাট ইলিয়াস তালুকদার বাড়ী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের ইন্তেকালে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ, মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা সহ ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকাহত পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মমতাজ হোসেন
গাউসিয়া কমিটি আকবরশাহ্ থানার আওতাধীন লতিফপুর ওয়ার্ডের সাবেক প্রচার সম্পাদক প্রবীণ পীর ভাই আলহাজ্ব মুহাম্মদ মমতাজ হোসেন সওদাগর গত ২২ সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ লতিফপুর গাউসিয়া কমিটি সাথে থেকে মাজাহাব মিল্লাতের খেদমত আনজাম দিয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁহার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আওলাদে রসূল, হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র মুরিদ ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ লতিফপুর ওয়ার্ড ও আওতাধীন ইউনিট নেতৃবৃন্দ গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেন।