নবী-রাসূলগণের পর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি খলীফাতু রাসূলিল্লাহ্ হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি >
عَنْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ رَانى النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَمْشِىْ اَمَامَ اَبِىْ بَكْرٍ فَقَالَ يَا اَبَا الدرداء اتمشى اَمَامَ منْ هو خير منك فى الدّنيا والاخرة ما طلعت الشمس وَلَا غَرَبَتْ عَلى احَدٍ بَعْدَ النَّبِين والمرسلين اَفَضَلَ مِنْ ابى بكر رَضِىَ اللهُ عَنْهُ- رواه احمد (رقم الحديث ۶۶۶)
عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لِاَحَدٍ عِنْدَنَا يدٌ اِلَّا وقد كافيناه ماخلا ابابكر فاِنَّ له عِنْدَنَا يدًا يكافيه اللهُ بها يومَ القيامةِ ومَانفعنى مَال احدٍ قطّ ما نفعنى مال ابى بكر- (رواه الترمذى- رقم الحديث ۵۶۴۹)
অনুবাদ: হযরত আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাকে আবু বকরের আগে চলতে দেখে বলেছেন, হে আবু দারদা! তুমি কি এমন ব্যক্তির আগে আগে চলছো যিনি ইহকালে ও পরকালে তোমার চেয়ে উত্তম। নবী-রাসূলগণের পর হযরত আবু বকর অপেক্ষা অন্য কোন শ্রেষ্ঠ মানুষের ওপর সূর্য উদিত হয়নি অস্তও যায়নি। [আহমদ, ফাদায়িলুস সাহাবা: খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৫৩, হাদীস নম্বর-১১৫]
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে, কেউ আমাদের উপকার করেছে আমরা তার প্রতিদান পরিশোধ করেছি, আবু বকরের এহসান ছাড়া। তিনি আমাদের প্রতি যে এহসান করেছেন কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ই তাঁকে প্রতিদান দেবেন। আর কারো সম্পদ আমাকে ততখানি উপকৃত করতে পারেনি আবু বকরের সম্পদ আমাকে যতখানি উপকৃত করেছে। [তিরমিযী শরীফ: ৫৬৪৯]
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
বর্ণিত হাদীস শরীফদ্বয়ে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবী, আশরা মুবাশ্শারা তথা বেহেশতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন সাহাবীদের প্রধান সাহাবী খলিফাতু রাসূলিল্লাহ্ হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র সুমহান মর্যাদা, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, ইসলামে তাঁর বহুমাত্রিক অবদানের বর্ণনা ও নবী মোস্তফার নূরানী জবানে নবী-রাসূলগণের পর উম্মতের মধ্যে তাঁর অতুলনীয় শান-মান ও শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনা আলোকপাত হয়েছে।
হযরত আবু বকর (রাদ্বি.)’র নাম ও বংশ পরিচয়
হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র নাম আবদুল্লাহ্ তাঁর উপনাম আবু বকর, উপাধি সিদ্দিক্ব ও আতীক্ব। তাঁর পিতার নাম উসমান, পিতার উপনাম আবু কুহাফা। মহিয়সী মাতার নাম উম্মুল খায়র সালমা, তাঁর বংশ পরিক্রমা সপ্তম পুরুষ নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের সাথে মিলিত হয়েছে। তিনি আবরাহা কর্তৃক মক্কা আক্রমণের প্রায় আড়াই বছর পর মক্কা মুকাররমায় জন্ম গ্রহণ করেন। [তারীখুল খুলাফা: পৃষ্ঠা-২]
ইসলাম গ্রহণ
অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনদের বর্ণনা মতে হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস হযরত মাইমুন বিন মিহরান বর্ণনা করেন- والله لقد امن ابوبكر بالنبى صلى الله عليه وسلم زمن بحيرى راهب-
হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বুহাইরা পাদ্রীর যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইবনে আসাকির হযরত মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন- اوّل من اسلم من الرجال ابوبكر-
পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। [তারীখুল খুলাফা: পৃষ্ঠা-২৩]
হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র অভিমত আমিরুল মু’মীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন- ابوبكر سيدنا وخيرنا واحبنا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم–
অর্থ: হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহ তা‘আলা আনহু আমাদের সরদার। আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম এবং আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সালাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র নিকট সর্বাধিক প্রিয় ছিলেন।
[সুনানে তিরমিযী: হাদীস নম্বর- ৫৬৫০]
হযরত আলী (রাদ্বি.)’র অভিমত
খলিফাতু রাসূলিল্লাহ্ হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও আমিরুল মু’মীনীন হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এরশাদ করেন- এই উম্মতের মধ্যে নবীর পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হলেন হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। [তারীখুল খুলাফা: পৃষ্ঠা-৩১]
হাউজে কাউসারে নবীজির সাথী
আম্বিয়ায়ে কেরামের পর উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তি হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু, এ বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সর্বজন স্বীকৃত ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত। তিনি জীবদ্দশায় সর্বদা নবীজির সাথে ছিলেন, বিদায়ের পরও নবীজির পাশে আছেন। নবীজি তাঁর অনন্য মর্যাদা বর্ণনা প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন- انت صا حبى على الخوض وصاحبى فى الغار- তুমি হাউজে কাউসারের নিকটে আমার সাথী হবে। যেমন সওর পর্বতের গুহায় আমার সাথী ছিলে। [সুনানে তিরমিযী: হাদীস নম্বর- ৩৬১৩৬]
তিনি জান্নাতে প্রৌঢ়দের সর্দার হবেন
তিনি উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। কেবল দুনিয়াতে ছিলেন না, নবীজির সাহচর্যের বদৌলতে পরকালেও তিনি পরম সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে সিয়াদতের আসনে আসীন হবেন।
হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র মর্যাদা প্রসঙ্গে হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- هذانِ سيدا كهول اهل الجنة من الاولين والاخرين اِلَّا النبين والمرسلين- (رواه الترمذى)
‘‘এরা দু’জন (হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যুগ সমূহের প্রৌঢ় জান্নাতবাসীদের সর্দার হবেন। [সুনানে তিরমিযী: হাদীস- ৩৫৯৭]
হযরত আবু বকর (রাদ্বি.)’র অতুলনীয় আমল
সততা, ন্যায়-পরায়ণতা, বদান্যতা, দানশীলতা, আমলে-আখলাকে, ধ্যানে-জ্ঞানে, চিন্তা-চেতনায়, স্মরণে-জাগরণে অকৃত্রিম নবী প্রেমের অবগাহনে উৎসর্গীত আত্মা, নিবেদিত প্রাণ, এক পবিত্র সত্ত্বার নাম হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাত, দান-সাদকা, মানব সেবা, সমাজ সেবা, রাষ্ট্র পরিচালনা, ইসলামী জিহাদে অংশগ্রহণ, সুশাসন-সুপ্রশাসন, সাম্য-মৈত্রী, আদর্শ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা সর্বোপরি মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ, যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, ভন্ডনবীদের মূলোৎপাঠন, ধর্মত্যাগীদের কঠোর হস্তে দমন, পবিত্র ক্বোরআন সংকলন ও সংরক্ষণ, প্রতিটি কাজে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। তাঁর আমলের সাথে উম্মতের আমল তুলনা করা নিছক অজ্ঞতা ও মুর্খতার নামান্তর।
যেখানে জলীলুল কদর সাহাবী আমিরুল মু’মীনীন হযরত ফারুকে আযম ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু জীবনে কখনো কোনো আমলে হযরত সিদ্দিক্বে আকবর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে অতিক্রম করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে চৌদ্দশত বৎসর পর কোন দাম্ভিক, অহংকারী নিজের আমলের বহর ও পরিধি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মনোভাব ও উক্তি প্রকাশ করা নিশ্চিত অভিশপ্ত ও জাহান্নামী হওয়ার পরিচায়ক। আলেম নামের কলংক এসব কুলাঙ্গার নরাধম জাহান্নামের কীট সাহাবা বিদ্বেষীদের সংশ্রব থেকে জাতির ঈমান আক্বিদা হিফাজত করুন।
হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু অপেক্ষা আমাকে যে প্রাধান্য দেবে আমি তাকে আশিটি চাবুকাঘাত করব। [ইবনে আসাকির, তারীখুল খুলাফা: পৃষ্ঠা-৪৩]
হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র সাহাবী হওয়া ক্বোরআন দ্বারা প্রমাণিত। পবিত্র ক্বোরআনের সূরা তাওবার ৪০ নম্বর আয়াতে হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে নবীজির সাহাবী বলে আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে- ثانى اثنين اذهما فى الغار اذ يقول لصاحبه لا تحزن ان الله معنا-
অর্থ: তিনি ছিলেন দু’জনের একজন, (অপরজন ছিলেন আবু বকর রাদ্বি.) যখন তাঁরা সওর গুহার মধ্যে ছিলেন তখন তিনি তাঁর সঙ্গীকে বললেন, চিন্তিত হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ আমাদের সাথে আছেন। [সূরা তাওবা, আয়াত-৪০]
তাঁর সাহাবিয়্যাত অকাট্য ক্বোরআন দ্বারা প্রমাণিত। তাঁর সাহাবী হওয়া অস্বীকার করা মানে ক্বোরআনের আয়াতকে অস্বীকার করা। ক্বোরআন অস্বীকারকারী নিঃসন্দেহে কাফির। অতএব পথভ্রষ্ট শিয়া, রাফেজী, সম্প্রদায় যারা হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সাহাবী হওয়া স্বীকার করে না কিংবা তাঁর সমালোচনা বা গালমন্দ করে তারা প্রকৃতপক্ষে ক্বোরআন অস্বীকারকারী।
হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী
হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র অসংখ্য গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য সমূহের আংশিক উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি-
১. তিনি সর্বপ্রথম মুসলমান, ২. তিনি সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ্র সাথে নামায আদায় করেছেন, ৩. তিনি সর্বপ্রথম ক্বোরআন সংকলন করেন, ৪. তিনি কাফিরদের সাথে সর্বপ্রথম যুদ্ধ করেন, ৫. তিনি সর্বপ্রথম খলিফাতু রাসূলিল্লাহ্ উপাধিতে ভূষিত হন, ৬. রাসূলুল্লাহ্র নির্দেশে তিনি সর্বপ্রথম উম্মতের নামাযের ইমামতি করেন, ৭. সর্বপ্রথম তাঁর নাম সিদ্দিক্ব হয়েছে। ইতোপূর্বে কারো নাম সিদ্দিক্ব ছিলো না, ৮. উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন, ৯. উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন, ১০. উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম লোকদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন, ১১. ৯ম হিজরিতে তিনি সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ্র মনোনীত আমিরুল হুজ্জাজ হিসেবে হজ্ব পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। ১২. রাসূলুল্লাহ্র জীবদ্দশায় উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম নবীজির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন, ১৩. রাসূলুল্লাহ্ সর্বপ্রথম তাঁকে ‘‘আতীক্ব’’ জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হিসেবে সুসংবাদ দেন। ১৪. তিনিই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য বার্ষিক রাষ্ট্রীয় ভাতার ব্যবস্থা করেন, ১৫. তিনিই সর্বপ্রথম ইসলামে বায়তুল মাল প্রতিষ্ঠা করেন, ১৬. রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম নিজেও তাঁর পেছনে নামায আদায় করেছেন, ১৭. তিনিই ক্বোরআন মজীদের নাম সর্বপ্রথম মুসহাফ রেখেছেন, ১৮. তিনিই সর্বপ্রথম ইসলামী শরীয়তের চারটি উসূল বা মূলনীতি নির্ধারণ করেন, ১৯. তিনিই প্রথম খলিফা যিনি তাঁর পিতা আবু কুহাফার জীবদ্দশায় খিলাফত লাভ করেন, ২০. তিনিই সর্বপ্রথম খলিফা যাঁর ভাতা রাষ্ট্রের প্রজা ও জনগণ কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
[আনোয়ারুল বায়ান, তারীখুল খুলাফা, খলীফাতুর রাসূলিল্লাহ্ আবু বকর আছছিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু: ড. আহমদ আলী]
খিলাফত ও ওফাত
তিনিই দুই বৎসর তিন মাসের কাছাকাছি খিলাফতের গুরুদায়িত্ব পালন করে ১৩ হিজরির ২২ জমাদিউস্ সানী, মঙ্গলবার রাতে মাওলায়ে হাক্বীক্বীর সান্নিধ্যে গমন করেন। রওজায়ে আকদাসে নূর নবীজির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে আপনার প্রিয় হাবীবের মহান খলীফার আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন- আ-মী-ন।
লেখক: অধ্যক্ষ- মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রি), বন্দর, চট্টগ্রাম।