কুরআন-হাদিস বনাম আহলে হাদিস
মুফতি মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আল কাদেরী>
মহান আল্লাহ মানবজাতিকে স্বভাবজাতভাবে মুকাল্লিদ বা অনুসরণকারী হিসেবে সৃষ্টি করে এ ধরাতে প্রেরণ করেন| ব্যক্তিগত, আর্থ-সামাজিক, ভৌগোলিক সর্বক্ষেত্রে তাদেরকে দেখা যায় অনুকরণকারী হিসেবে। ব্যক্তির এক দল আরেক দলের, এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের তাকলীদ বা অনুসরণ করেই চলছে। চেতনে অবচেতনে আমরা সকলে পরস্পর থেকে কিছু না কিছু শিখতে থাকি। আমাদের সকল প্রকার উন্নতি-উতকর্ষ এ অনুসরণেরই কাছে দায়বদ্ধ। কাজেই তাকলীদ থেকে পালানোর সুযোগ নেই। নেই কোন উপায় তাকলীদ ব্যতিত।
দুনিয়ার কাজে তাকলীদ যত প্রয়োজন, এর চেয়ে বেশি দরকার দ্বীনের ক্ষেত্রে। তাই উম্মতের মধ্যে সাহাবায়ে কেরাম হতে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বিনা মতভেদে এর উপর আমল চলমান। নবীজীর জীবÏশায় সাহাবায়ে কেরাম রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুকরণ এবং নবীজীর তিরোধানের পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবঈ, তাবে তাব‘ঈ ও পরবর্তী উলামায়ে কেরাম একে অপরের অনুসরণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উম্মতের বিশ্বখ্যাত আলেমগণ বিশেষ করে ইমাম গাযযালী, ইমাম রাযী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম তাহাবী, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ, ইমাম ইবনে হুমাম, ইমাম ইবনে কুদামা, ইমাম কাজী আয়ায, ইমাম ইবনে হাযর আসকালানী, ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী, ইমাম কুসতালানী, মোল্লা আলী ক্বারী প্রমুখ এবং তাঁদের পূর্ববর্তী-পরবর্তী যুগের লক্ষ লক্ষ আলেমগণ শরীয়তের জ্ঞানে পারদর্শী হওয়া সত্ত্বেও সর্বদা আইম্মায়ে মুজতাহিদগণের প্রদত্ত মতামতকে অনুসরণ করতেন। আর এ ধরনের অনুসরণ ও অনুকরণের নাম তাকলীদ।
শরীয়তের সকল বিধান কুরআন-হাদিসে সুস্পষ্ট ও সরাসরি উল্লেখ নেই। এ পর্যায়ের মাসয়ালাগুলোকে কুরআন-হাদিসে বর্ণিত মূলনীতির আলোকে বের করা এবং অত্র মাসয়ালার শরয়ী হুকুম নির্ণয় করা উম্মতের ঐ সকল মুজতাহিদগণের কাজ, যারা আরবি ভাষা, আরবি অভিধান, পরিভাষা, শব্দ প্রয়োগ ও পন্থা সম্পর্কে পূর্ণ অবগতিসহ কুরআন-হাদিস সম্পর্কীয় যাবতীয় বিষয়ে পারদর্শী এবং তাকওয়া-পরহেযগারীর শীর্ষস্থানে উপনীত, যেমন- ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হি, ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলায়হি, ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলায়হি, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল প্রমুখ। আল্লাহ তালা উল্লিখিত ইমামগণের মধ্যে নবীযুগের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে সাহাবী, তাব‘ঈ ও তাবে তাব্দঈদের সাহচর্যের বরকতে শরীয়তের মূলনীতি ও উদ্দেশ্যvবলী বুঝার এবং কুরআন-হাদিসে স্পষ্ট ও সরাসরিভাবে বর্ণিত আহকাম ও বিধান হতে অবর্ণিত আহকামগুলো ইজতিহাদ ও কেয়াসের মাধ্যমে হুকুম বের করার বিশেষ প্রতিভা ও যোগ্যতা দান করেছেন। যার ফলে তাঁদের প্রতিষ্ঠিত চার মাযহাব বিশ্বের বুকে বেশি প্রচার-প্রসার ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এ চার মাযহাবের উপর নির্ভরযোগ্য ও বিশ্ববরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেন এবং যুগ যুগ ধরে উক্ত মাযহাব মান্য ও অনুসরণ করে বিশ্বের সকল মুসলমান কুরআন-সুন্নাহর উপর আমল করতঃ সঠিক পথের পথিক হয়েছেন।
সাম্প্রতিককালে বৃটিশ যুগের উৎপাদন তথাকথিত আহলে হাদিস সালাফী সম্প্রদায়ের দাবীঃ মাযহাব মানা বা কোন ইমামের তাকলীদ কিংবা অনুসরণ শিরিক! চমৎকার ফতওয়া, যে ফতওয়া নিজের উপর বর্তায়। কারণ তারা ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হিকে সহ্য করতে সমস্যা হলেও ইবনে তাইমিয়া, আব্দুল ওহাব নজদীসহ এ জাতীয় লোকদের শুধু তাকলীদ করেনা; বরং তাঁদের ভ্রান্ত আক্বিদা প্রচার-প্রসারে আরামের ঘুমকে হারাম করতে একটু চিন্তা ও করেনা। অথচ মুখে বলে আমরা কারও তাকলীদ করিনা। মুখে এক রকম কাজে ভিন্ন, এটি কিসের নিদর্শন? আশা করি পাঠকগণের বুঝতে কষ্ট হবেনা।
সদ্য প্রসূত লা-মাযহাবী তথাকথিত আহলে হাদিসগণ জোরগলায় বলে বেড়ায় তারা হাদিস ব্যতিত অন্য কারও কথা কিংবা আমল মানবে না। চাই এ আমল বা উক্তি আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হউক অথবা ফারুকে আযম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর কিংবা হযরত উসমানগণি রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর অথবা শেরে খোদা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হউক। উক্ত দাবীর দ্বারা তাঁদের মুখোশ উন্মোচিত হল। যারা খোলাফায়ে রাশেদীন, আশরায়ে মুবাশশারাহসহ লক্ষাধিক সাহাবায়ে কেরামের হাদিস ও আমল মানেনা তাদের নাম আহলে হাদিস। নূর নবীর ঘোষণা বনী ঈসরাইল বাহাত্তর ফেরকায় বিভক্ত হয়েছিল, আমার উম্মত তিয়াত্তর দলে। আর একটি মাত্র দল জান্নাতী, সাহাবায়ে কেরামের প্রশ্নের উত্তরে নবীজী ইরশাদ করেন- একটি মাত্র জান্নাতী দল হচ্ছে, যারা আমি এবং আমার সাহাবায়ে কেরামের তরিকার উপর প্রতিষ্ঠিত।১ যে দল সাহাবায়ে কেরামকে মাইন্যাস করে সরলপ্রাণ মুসলমানকে জান্নাতের পথ ব্যাতিরেকে চির অশান্তির পথে আহ্বান করে তাঁদের ব্যাপারে এখন গভীরভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে।
কুপ্রবৃত্তির আনুগত্যে আক্রান্ত তথাকথিত আহলে হাদিস এর দাবী ‘কুরআন হাদিসের তাকলীদ বলতে কিছুই নেই তাঁদের এ বক্তব্য সম্পূর্ন মিথ্যা-বানোয়াট বিভ্রান্তিমূলক ও কুরআন হাদিসের পরিপন্থি।’ কুরআন-হাদিসে তাকলীদ বা অনুকরণের দৃষ্টান্ত এবং এর উপর আমলের নির্দেশ রয়েছে। কুরআন-সুন্নাহ এ নির্দেশকে গ্রহণ ও বরণ করে সাহাবায়ে কেরাম থেকে যুগ যুগ ধরে আল্লাহ ওয়ালার বিশেষ নেয়ামত প্রাপ্তবান্দা, আলেমে রাব্বানীগণসহ সকল মুসলিম উম্মাহ তাকলীদের উপর গুরুত্ব সহকারে আমল করেন। পরিতাপের বিষয় কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী মাযহাব বিরোধী আহলে হাদিস নামধারী গোষ্ঠীর বক্তব্য ও আক্বিদাকে বিশ্বাস করে সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ বিভ্রান্তির শিকার হয়ে নিজেকে তাগুতী পথে ঠেলে দিচ্ছে। লা-মাযহাবী আহলে হাদিসের এ বিভ্রান্তির অবসানকল্পে তাকলীদ বা ইমামের অনুসরণের প্রমাণ-দলিল ও গুরুত্ব সংক্ষেপে কুরআন-হাদিসের আলোকে প্রদত্ত হলঃ
দলীল এক.
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- “মুমিন থেকে সকলে একসাথে বের হওয়া সঙ্গত নয়। সুতরাং প্রত্যেক দলের এক অংশ বের হোক যারা ধর্মের জ্ঞান অর্জন করতঃ ফিরে এসে স্বজাতিকে সতর্ক করবেন।”২ অত্র আয়াতের আলোকে একদল থেকে কিছু সংখ্যক লোক ইলমে দ্বীনের জন্য বের হয়ে ধর্মের জ্ঞান অর্জন করে নিজ এলাকায় এসে কুরআন-হাদিসের মূলনীতি সম্পর্কে জ্ঞাত নয় এবং কুরআন-হাদিস থেকে সরাসরি শরীয়তের বিধান উৎঘাটন করতে অপারগ এমন লোকদেরকে বিজ্ঞ আলেমগণ শরয়ী বিধান শিক্ষা দেবেন এবং এ শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করে সর্ব সাধারণ গণ আমল করবেন। আর এটাই হচ্ছে তাকলীদ বা ইমামের অনুসরণ।
দলীল দুই.
“যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর।”৩ এ আয়াত দ্বারা তাকলীদ বা ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব প্রমাণিত হয়। অত্র আয়াতে জ্ঞানবানদেরকে জিজ্ঞেস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা জানতে চাওয়া হয় আর তা মানতে হয় এটাই বুদ্ধিমানের কাজ, এটাই স্বাভাবিক।
দলীল তিন.
“হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহ ও রাসূল এবং তোমাদের শাসকদের অনুগত হও।”৪ অধিকাংশ তাফসীরকারকদের মতে অত্র আয়াতে ‘উলিল আমর’ দ্বারা মুজতাহিদগণ উদ্দেশ্য। ইমামের তাকলীদ করা এ আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত।
দলীল চার.
বুখারী শরীফে কিতাবুল হজ্জ অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে। “হযরত ইকরিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত মদিনা বাসীগণ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর নিকট জিজ্ঞেস করেন, কোন মহিলা তাওয়াফে যিয়ারত করার পর ঋতুবর্তী হলে বিদায়ী তাওয়াফ না করে সে (নিজ দেশে) যেতে পারবে কিনা? হযরত ইবনে আব্বাস Dত্তরে বলে হ্যাঁ, যেতে পারবে। তারা বললেন, আমরা যায়েদ ইবনে ছাবেতের রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর উক্তি পরিত্যাগ করে আপনার ফয়সালা কিছুতেই গ্রহণ করবনা। ইবনে আব্বাসরাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বললেন তোমরা মদিনা গিয়ে উক্ত মাসয়ালা জেনে নেবে। তারা মদিনা শরীফে পৌঁছে উক্ত মাসয়ালা সম্পর্কে জানলেন।”৫
অপর সূত্রে বর্ণিত আছে, যায়েদ ইবনে ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর উক্তি হচ্ছে এক্ষেত্রে বিদায়ী তাওয়াফ করা ব্যতীত মেয়েলোক যেতে পারবেনা। এর দ্বারা সুস্পষ্টরূপে বুঝা যায়, মদিনাবাসীগণ হযরত যায়েদ বিন ছাবিতের ব্যক্তি বিশেষের তাকলীদ করতেন। এ কারণেই তাঁরা এই ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্বাসের মত প্রখ্যাত সাহাবীর ফতওয়া গ্রহণ করেন নাই এবং তাঁর উক্তি ও ফতওয়াকে প্রত্যাখ্যান করার কারণ শুধু এতটুকু বর্ণনা করেন, তাঁর ফতওয়া হযরত যায়েদ বিন ছাবেতের ফতওয়ার বিপরীত ছিল। এদিকে ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাদেরকে প্রতিবাদ সরূপ একথা বলেন নাই তোমরা ব্যক্তি বিশেষের তাকলীদ করে গুনাহ করেছো।
দলীল পাঁচ.
“হযরত মা’য়ায ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, নিবীজী তাঁকে ইয়ামান দেশের বিচারক হিসেবে প্রেরণকালীন সময়ে জিজ্ঞেস করেন সেখানে গিয়ে পারস্পরিক কর্মকান্ডের ফয়সালা কিরূপে করবে? হযরত মু’য়ায বললেন, আল্লাহ তায়ালার কিতাবে যা কিছু আছে তদানুযায়ী ফয়সালা করবো। নবীজী বললেন, যদি কিতাবুল্লাহর মধ্যে ঐ বিধান পাওয়া না যায় তখন কি করবে? তিনি বললেন আল্লাহর নবীর সুন্নাত অনুযায়ী ফায়সালা করব। নবীজী বললেন যদি সুন্নাতের মধ্যে না পাও (তখন কি করবে)? তিনি উত্তরে বললেন নিজের রায় ও বিবেক দ্বারা ইজতিহাদ করব। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আল্লাহ তা‘আলার শোকর যে, তিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে (ফতওয়া সঠিক নিয়ম-পদ্ধতির) তৌফিক দান করেছেন।”৬
হযরত মু’য়ায ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ইয়ামান দেশের লোকদের শুধু গভর্নর হয়ে গমন করেন নাই, বরং কাজী ও মুফতি হয়ে তাশরিফ নিয়ে ছিলেন। কাজেই ইয়ামানবাসীদের তাঁর তাকলীদ ব্যতীত উপায়ান্তর ছিল না। বস্তুতঃ ইয়ামানবাসীগণ শুধু তাঁরই ব্যক্তি বিশেষের তাকলীদ করতেন।
তাকলীদ বা ইমামের অনুসরণ সম্পর্কিত কুরআন ও হাদিসের অসংখ্য দলিল রয়েছে যা ক্ষুদ্র পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর যাদের পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, তাঁদের জন্য কুরআন-হাদিসের একটা প্রমাণই যথেষ্ট।
ভ্রান্ত মতবাদের অধিকারী তথাকথিত আহলে হাদিস সম্প্রদায় গুটি কয়েক মাসয়ালা তথা নামাযে রফে ইয়াদাইন, ইমামের পিছনে উচ্চ স্বরে আমিন বলা ও কিরাত পড়া এবং নাভির উপর হাত বাঁধা নিয়ে হাদিসের দোহাই দিয়ে মুসলিম সমাজকে যে হারে বিভ্রান্তি করছে, তাদের মনে রাখা দরকার উক্ত মাসয়ালা সম্পর্কীত সহী হাদিস হানাফী আলেমগণের নিকট তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।
বুখারী শরীফের দোহাই দিয়ে আহলে হাদিস নামধারী গোষ্ঠি সাধারণ মুসলমানকে গোমরাহীর দিকে টেনে নেওয়ার অপকৌশল করলেও মূলতঃ অন্যান্য হাদিস গ্রন্থসহ বুখারী শরীফকে প্রকৃত মর্মে তাঁরা মানেনা। ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি হাদিসের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অনেক ইমামের উক্তি পেশ করেছেন যা তাকলীদে পরিচায়ক। অতএব, কৃষ্ণাঙ্গ-নিগ্রোর দাবী সে কর্পূরের মত শুভ্র-শেতাঙ্গ; এতা যেমন মিথ্যা কথা, তেমনি করে আহলে হাদিসের দাবী হাদিসের উপর একমাত্র তারা আমলকারী, সেটাও অসত্য, আসলে তারা হাদিসের উপর আমলকারী নয় বরং হাদিস বর্জনকারী, একটি ভ্রান্ত দল।
তথ্যসূত্র
১। আবু দাউদ, কিতাবুস সুন্নাহ।
২। সূরা তাওবা আয়াত নং- ১২৩।
৩। সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং- ০৭।
৪। সূরা নিসা, আয়াত নং- ৫৯।
৫। বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, ২৩৭ পৃষ্ঠা।
৬। তিরমিযী- ১৩২৭, আবু দাউদ, কিতাবুস সুন্নাহ।
লেখক: প্রধান ফকিহ, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা।