আল্লাহকে ভালবাসার পূর্বশর্তসমূহ
= আল্লাহকে ভালবাসার পূর্বশর্তসমূহ =
মুহাব্বতের প্রথম পূবশর্ত হল অধিক পরিমাণে মাহবূবের চর্চা করা।
مَنْ اَحَبَّ شَيْئًا اَكْثَرَ ذِكْرَهُ
(অর্থাৎ যে ব্যক্তি কোন বস্তুকে ভালবাসে সে সেটার বেশী চর্চা করে।) আল্লাহ তা’আলা পবিত্র ক্বোরআন মজিদে ওইসব ব্যক্তির প্রশংসা করেছেন, যাঁরা আল্লাহকে ভালবাসেন এবং তাঁর যিকরে মশগুল থাকেন। যেমন এরশাদ হচ্ছে- وَالَّذِيْنَ يَبِيْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَّقِيَامًا
তরজমাঃ এবং ওইসব লোক, যারা রাত অতিবাহিত করে আপন রবের জন্য সাজদাহ্ ও ক্বিয়ামের মধ্যে। [সূরা ফোরক্বান, আয়াত-৬৪, তরজমা- কান্যুল ঈমান]
আল্লাহ্ তা’আলার ভালবাসার দ্বিতীয় পূর্বশর্ত হল-আল্লাহর পরীক্ষার উপর ধৈর্যধারণ করা। রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- اَشَدُّ النَّاسِ بَلاَءً اَلْاَنِبِيَاءُ ثُمَّ الْاَمْثَلُ فَالْاَمْثَلُ
অর্থাৎ সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন সম্মানিত নবীগণ, অতঃপর তাদের অনুগতগণ তারপর তাঁদের অনুগতগণ।
হযরত আইয়ূব আলাইহিস্ সালাম-এর ঘটনা ক্বোরআন মজীদে একাধিকবার এরশাদ হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে কঠিন শারীরিক রোগব্যাধি দিয়ে পরীক্ষা করেছেন।
মুফাস্সিরগণ বলেন, হযরত আইয়ূব আলায়হিস্ সালাম প্রায় ১২ বছর কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন আল্লাহ্র কাছে আরোগ্য লাভের জন্য ফরিয়াদ করেন। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর নি’মাতে আমার জীবন ভরপুর। সামান্য একটি পরীক্ষায় আমি ধৈর্যহারা হতে পারি না।’’ ১২ বছর পর স্ত্রীর জোর অনুরোধে তিনি আল্লাহর কাছে দো’আ করেছিলেন- وَاَيُّوْبَ اِذْ نَادى رَبَّه اَنِّىْ مَسَّنِىَ الضُّرُّ وَاَنْتَ اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
তরজমাঃ এবং আইয়ুব আলায়হিস্ সালামকে (স্মরণ করুন) যখন সে আপন রবকে ডাকলো, ‘আমাকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করেছে এবং তুমি সমস্ত দয়ালুর মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু।’ [সূরা আম্বিয়া, আয়াত-৮৩, তরজমা-কান্যুল ঈমান]