Anjuman-E Rahmania Ahmadia Sunnia Trust

বেলায়তের সম্রাট ছিলেন হযরত গাউসে আজম শায়খ সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী

বেলায়তের সম্রাট ছিলেন হযরত গাউসে আজম শায়খ সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী

আলমগীর খানকাহ্ শরীফে অনুষ্ঠিত পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদহ্ম মাহফিলে বক্তারা বলেন-
মুসলিম বিশ্বে ও ইসলামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব বেলায়ত’র সম্রাট ছিলেন
হযরত শেখ সুলতান মীর মহিউদ্দিন সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম’র ব্যবস্থাপনায় ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন’র সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ্-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় বিকেল ৩টা হতে বা’দ নামাজে এশা পর্যন্ত পীরানে পীর দসÍগীর হযরত শেখ সুলতান মীর মহিউদ্দিন সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ)’র পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদহ্ম, পবিত্র গেয়ারভী শরীফ, এবং হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)’র মা ছাহেবান’র ফাতেহা শরীফ যথাযোগ্য মর্যাদায় গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন- ১১ রবিউস্ সানি মুসলিম বিশ্বে ও ইসলামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব বেলায়ত’র সম্রাট হুজুর গাউসুল আজম মাহবুবে সোবহানী কুতুবে রব্বানী গাউসে ছামদানী পীরানে পীর দস্তগীর হযরত খাজা শেখ সুলতান সৈয়্যদ মীর মুহিউদ্দীন আবদুল কাদের জিলানী আল্-হাসানী ওয়াল হুসাইনী রদিয়াল্লাহু আনহুর ওফাত দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ মহান আধ্যাত্মিক অধিপতি গাউসে পাক’র ফয়ুজাত ও বরকত লাভের উদ্দেশ্যে।

বক্তারা বলেন, হুযুর শাহানশাহে বাগদাদ আবদুল কাদের জিলানী রদিয়াল্লাহু তা’লা আনহু ছিলেন পিতার দিক দিয়ে হাসানী সাইয়্যেদ আর মাতার দিক দিয়ে হোসাইনী সাইয়্যেদ। বড়পীর গাউসুল আযম হযরত আবদুল কাদের জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ওলীকুল শ্রেষ্ট সর্মজনমান্য অতুলীয় ব্যক্তিত্ব তাঁর উঁচু মর্তবা, রূহানী জগৎ থেকে শুরু করে মাতৃগর্ভ শৈশব ও পরিণত বয়সে এমনকি ওফাতোত্তর আজ অবধি প্রকাশিত অসংখ্য কারামত কিংবদন্তীকেও হার মানিয়েছে। তিনি এ জগৎ থেকে পর্দা করার পর তার মনোনীত খলিফারা এ সিলসিলার কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, ফলে কাদেরিয়া তরিকার অনুসারীর সংখ্যাই বেশি।

আওলাদে রাসূল, হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) প্রবর্তিত এ সিলসিলাহ্ এ দেশে প্রচারে প্রধান ভূমিকা রাখেন আরেকজন আওলাদে রাসূল, হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (রহ.)। তিনি পর্দা করার পর তাঁর সুযোগ্য ছাহেবজাদা রাহনুমায়ে শরিয়ত ও তরিকত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এ তরিকার প্রসার ঘটান। বর্তমানে হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মা.জি.আ.) ও আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ.) পবিত্র হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত মানুষ এ হক্কানী সিলসিলায় দাখিল হয়ে ধন্য হচ্ছেন।

আজ পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদাহুম সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হচেছ। পীরানে পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)’র শিক্ষা জীবনে ধারণ করে অন্তর আত্মা পরিশুদ্ধ করে প্রিয় নবীর সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা নিজেদেরকে যাতে গড়ে তুলতে পারি, পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদাহম এ এটাই কামনা।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আনজুমান ট্রাস্ট’র সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারী এস.এম.গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী মোহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, অর্গানাজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাওলানা লিয়াকত আলীসহ ওলামায়ে কেরাম। আনজুমান ট্রাস্ট’র সদস্য- মুহাম্মদ সাহাজাদ ইবনে দিদার, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, লোকমান হাকিম মোহাম্মদ ইব্রাহীম, নূর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মুহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম, মুহাম্মদ আবদুল হামিদ, তছকির আহমদ, মুহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, মুহাম্মদ হাসানুর রশীদ রিপন, মোহাম্মদ মাহাবুব ছফা,আশেক রসুল খাঁন বাবু, মোহাম্মদ হোসাইন খোকনসহ সদস্যবৃন্দ, ওরস সাব-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মুন্না, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় পর্ষদের যুগ্ম সচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর’র সহ সভাপতি ছাবের আহমদ, সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ, উত্তর জেলার সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী,  দক্ষিণ জেলার সম্পাদক মাষ্টার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।

এদিকে বিকেল ৩টা হতে- খত্মে কোরআন মজীদ, খত্মে বোখারী শরীফ ও খত্মে মজমু’য়াহ-এ সালাওয়াতে রসূল, বাদ মাগরিব- খতমে গাউসিয়া শরীফ, খতমে গেয়ারভী শরীফ ও জীবনী আলোচনা এবং বা’দ নামাজে এশা সালাত-সালাম অনুষ্ঠিত হয়।

পরিশেষে, বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মুনাজাত এবং তাবাররুক বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

Share:

Leave Your Comment