আহলে হাদীস নামধারী ভ্রান্ত ও লা-মাযহাবীদের খন্ডন (পর্ব-6)
‘আ-মী-ন’ নিম্নস্বরে বলা চাই
হানাফী মাযহাবানুসারে প্রত্যেক নামাযী- ইমাম হোন কিংবা মুক্বতাদী অথবা একাকী নামায সম্পন্নকারী হোন আর নামাযও ‘জাহ্রী’ (উচ্চস্বরে ক্বিরাআত বিশিষ্ট) হোক, কিংবা ‘সিররী’ (নিম্নস্বরে ক্বিরাআত বিশিষ্ট) হোক, ‘আ-মী-ন’ নিম্নস্বরে বলবেন। কিন্তু গায়র মুক্বাল্লিদ (লা-মাযহাবী) ওহাবী সম্প্রদায়ের মতে, ‘জাহরী’ নামাযে ইমাম ও মুক্বতাদী উচ্চস্বরে চিৎকার করে ‘আ-মী-ন’ বলবে। সুতরাং এ মাসআলা দু’টি পরিচ্ছেদে আলোচনা করার প্রয়াস পাচ্ছি। প্রথম পরিচ্ছেদে আমাদের প্রমাণাদি আর দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে ওহাবীদের আপত্তিগুলো ও সেগুলোর খণ্ডন করা হবে।
প্রথম পরিচ্ছেদ
নিম্নস্বরে ‘আ-মী-ন’ বলা আল্লাহ্ ও রসূলের নির্দেশের অনুরূপ। উচ্চস্বরে চিৎকার করে ‘আ-মী-ন’ বলা ক্বোরআন-ই করীমেরও বিরোধী এবং হাদীস কিংবা সুন্নাতের পরিপন্থী (বিপরীত)।
দলীলাদি নিম্নরূপ
আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ ফরমান- اُدْعُوٌّ رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً
তরজমা: ‘‘আপন রবের মহান দরবারে দো’আ (প্রার্থনা) করো বিনয়ভাবে এবং নিম্নস্বরে।’’ ‘আ-মী-ন’ও দো‘আ। সুতরাং এটাও নিম্নস্বরে বলা উচিত। মহান রব এরশাদ ফরমান-
وَاِذَا سَئَلَكَ عِبَادِىْ عَنِّىْ فَاِنِّىْ قَرِيْبٌ اُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ
তরজমা: হে মাহবূব, যখন লোকেরা আপনাকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে (বলুন) ‘আমি অত্যন্ত নিকটে। আমি প্রার্থনাকীর প্রার্থনা ক্ববূল করি, যখন সে আমাকে আহ্বান করে, বুঝা গেলো যে, চিৎকার করে তাকেই ডাকা হয়, যে আমাদের থেকে দূরে। মহান রব আমাদের স্কন্ধশিরা অপেক্ষাও নিকটে। সুতরাং ‘আ-মী-ন’ (হে আল্লাহ্! ক্ববূল করো) উচ্চস্বরে বলা অনর্থক, বরং ক্বোরআনের শিক্ষার বিপরীত। কারণ, ‘আ-মী-ন’ও দো‘আ।
হাদীস শরীফ থেকে দলীল
হাদীস নম্বর ১-৮
সর্ব ইমাম বোখারী, মুসলিম, আহমদ, মালিক, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্ হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اَمَّنَ الْاِمَامُ فَاَمِّنُوْ فَاِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِيْنُهُ تَأْمِيْنَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَلَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ-
অর্থ: নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন ইমাম ‘আ-মী-ন’ বলবে, তখন তোমরাও ‘আ-মী-ন’ বলো। কেননা, যার ‘আ-মী-ন’ ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’-এর অনুরূপ হবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
এ হাদীস শরীফ থেকে বুঝা গেলো, গুনাহ্র ক্ষমা রয়েছে ওই নামাযীর জন্য, যার ‘আ-মী-ন’ ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’-এর মতো হবে। আর প্রকাশ্য কথা হচ্ছে যে, ফেরেশতাগণ ‘আ-মী-ন’ নিম্নস্বরে বলেন। তাই আমরা আজ পর্যন্ত তাঁদের ‘আ-মী-ন’ শুনিনি। সুতরাং আমাদের ‘আ-মী-ন’ও নিম্নস্বরে হওয়া চাই, যাতে তা ফেরেশতাদের আমলের অনুরূপ হয় এবং পাপরাশিরও ক্ষমা হয়। যে সব ওহাবী (সালাফী, লা-মাযহাবী) চিৎকার করে ‘আ-মী-ন’ বলে, তারা তো যেভাবে মসজিদে আসে, সেভাবেই মসজিদ থেকে যায়, তাদের গুনাহগুলোর ক্ষমা হয় না। কেননা, তারা ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’-এর বিরোধিতা করে।
হাদীস নম্বর ৯-১৩
সর্ব ইমাম বোখারী, শাফে‘ঈ, মালিক, আবূ দাঊদ, নাসাঈ হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন-قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا قَالَ الْاِمَامُ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِيْنَ فَقُوْلُوْا اَمِيْنُ فَاِنَّهُ مَنْ وَّافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَلَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ-
অর্থ: রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন ইমাম বলে, ‘‘গায়রিল মাগদ্বূ-বি ‘আলায়হিম ওয়ালাদ্ব্ দ্বোয়া—-ল্লী-ন’’, তখন তোমরা বলো, ‘‘আ-মী-ন’’। কেননা, যার এ ‘আ-মী-ন’ বলা ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’ বলার মতো হবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
এ হাদীস শরীফ থেকে দু’টি মাসআলা প্রতীয়মান হয়-
এক. মুক্বতাদী ইমামের পেছনে ‘সূরা ফাতিহা’ কখনো পড়বে না। যদি মুক্বতাদী পড়তো, তবে হুযূর-ই আক্রাম এরশাদ করতেন, ‘‘যখন তোমরা ‘ওয়ালাদ্ব্ দ্বোয়া—-ল্লী-ন’ বলবে, তখন তোমরা ‘আ-মী-ন’ বলো। ‘ওয়ালাদ্ব্ দ্বোয়া—-ল্লী-ন’ বলা ইমামের কাজ। মহান রব এরশাদ করছেন- اِذَا جَآءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ فَامْتَحِنُوْهُنَّ
তরজমা: ‘‘যখন তোমাদের নিকট মু’মিন নারীগণ আসে, তখন তাদের পরীক্ষা নাও।’’
দেখুন,পরীক্ষা নেওয়া শুধু মু’মিন পুরুষদের কাজ, মু’মিন নারীদের কাজ নয়। কোন হাদীসে একথা বলা হয়নি-
اِذَا قُلْتُمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ فَقُوْلُوْا اَمِيْنُ
(যখন তোমরা ‘ওয়ালাদ্ব্ দোয়া-ল্লী-ন’ বলো, তখন ‘আ-মী-ন’ বলে নাও!) বুঝা গেলো যে, মুক্বতাদীগণ وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবেই না।
দুই. ‘আ-মী-ন’ আস্তে (নি¤œস্বরে) বলা চাই। কেননা, ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’ বলা নিম্নস্বরে হয়ে থাকে। ফলে আজ পর্যন্ত আমরা তা শুনতে পায়নি।
স্মর্তব্য যে, এখানে ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’ বলার মতো হওয়া মানে ‘সময়ের মিল’ নয়, বরং বলার ধরনে মিল থাকা। ফেরেশতাদের ‘আ-মী-ন’ বলার সময়তো তখনই, যখন ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ খতম করেন। কেননা, আমাদের সংরক্ষক ফেরেশতাগণ আমাদের সাথেই নামাযগুলোতে শরীক হন এবং ওই সময়ই ‘আ-মী-ন’ বলেন।
হাদীস নম্বর ১৪-১৮
ইমাম আহমদ, আবূ দাঊদ ত্বায়ালেসী, আবূ ইয়া’লা মসূলী ত্বাবরানী, দার-ই ক্বুতনী ও হাকিম ‘মুস্তাদ্রাক’-এ হয়রত ওয়া-ইল ইবনে হুজর থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম হাকিম বলেছেন, ‘‘সেটার সনদ অতি মাত্রায় বিশুদ্ধ।’’ বর্ণনাটা নিম্নরূপ-
عَنْ وَأئِلِ بْنِ حُجَرٍ اَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا بَلَغَ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ قَالَ اَمِيْنَ وَاَخْفَى بِهَا صَوْتَهُ-
অর্থ: হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি হুযূর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে নামায পড়েছেন। যখন হুযূর-ই আকরাম ‘ওয়ালাদ্ব্ দ্বোয়া—-ল্লী-ন’-এ পৌঁছেছেন, তখন তিনি বলেন, ‘আ-মী-ন’। আর ‘আ-মী-ন’ বলার সময় কণ্ঠস্বর শরীফকে নিচু রেখেছেন।
বুঝা গেলো যে, ‘আ-মী-ন’ নিম্নস্বরে বলা রাসূলুল্লাহ্র সুন্নাত। উচ্চস্বরে বলা একেবারে সুন্নাত বিরোধী।
হাদীস নম্বর ১৯-২১
সর্ব ইমাম আবূ দাঊদ, তিরমিযী ও ইবনে আবী শায়বাহ্ হযরত ওয়া-ইল ইবনে হুজর থেকে বর্ণনা করেন-
قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ فَقَالَ اٰمِيْنَ وَخَفَّضَ بِهِ صَوْتَهُ-
অর্থ: তিনি বলেন, আমি হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে শুনেছি, তিনি পড়েছেন, ‘‘গায়রিল মাগদ্বো-বি আলায়হিম ওয়ালাদ্ব্ দ্বো—-য়াল্লীন।’’ তখন তিনি বলেছেন, ‘আ-মী-ন’ এবং আওয়াজ শরীফকে নিচু রেখেছেন।
হাদীস নম্বর ২২-২৩
ইমাম ত্বাবরানী ‘তাহযীবুল আ-সা-র’-এ এবং ইমাম ত্বাহাভী হযরত ওয়া-ইল ইবনে হুজর থেকে বর্ণনা করেছেন-
قَالَ لَمْ يَكُنْ عُمَرُ وَعَلِىٌ رَضَىَ اللهُ عَنْهُمَا يَجْهَرَانِ بِبِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ وَلَابِآَمِيْنُ-
অর্থ: হযরত ওমর ও হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা ‘বিস্মিল্লাহ্’ না উঁচু আওয়াজে পড়তেন, না আ-মী-ন।
বুঝা গেলো যে, নিম্নস্বরে ‘আ-মী-ন’ বলা সাহাবা-ই কেরামের সুন্নাত।
হাদীস নম্বর ২৪
‘হিদায়া’ কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা ‘আইনী হযরত আবূ মা’মার রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
عَنْ عُمَرَبْنِ الْخَطَّابِ رَضَى اللهُ عَنْهُ قَالَ يُخْفِىْ الْاِمَامُ اَرْبَعًا اَلتَّعَوُّذَ وَبِسْمِ اللهِ وَاَمِيْنْ وَرَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ-
অর্থ: হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইমাম চারটি বিষয় নিম্নস্বরে বলবে- ‘আ‘ঊযু বিল্লাহ্’, ‘বিস্মিল্লাহ্’, ‘আ-মী-ন’ ‘রাব্বানা- লাকাল হামদু’।
হাদীস নম্বর ২৫
ইমাম বায়হাক্বী হযরত আবূ ওয়া-ইল রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন-
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ يُخْفِى الْاِمَامُ اَرْبَعًا بِسْمِ اللهِ وَاللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَالتَّعَوُّذَ وَالتَّشَهُّدَ-
অর্থ: ইমাম চারটি জিনিষ নিম্নস্বরে বলবেন- বিস্মিল্লাহ্, রাব্বানা লাকাল হামদু, আ‘ঊযু ও আত্তাহিয়্যাত।
হাদীস নম্বর ২৬
ইমাম আবূ হানিফা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম নাখ‘ঈ থেকে বর্ণনা করেছেন-
قَالَ اَرْبَعٌ يُخْفِيْهِنَّ الْاِمَامُ التَّعَوُّذ وَبِسْمِ اللهِ وَسُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَاَمِيْنُ- رَوَاهُ مُحَمَّدٌ فِى اٰلْاَثَارِ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ فِىْ مُصَنَّفِهِ-
অর্থ: তিনি বলেন, ইমাম চারটি বিষয় নিম্নস্বরে বলবেন- ‘আ‘ঊযু’, ‘বিস্মিল্লাহ্’, ‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা’ এবং ‘আ-মী-ন।’ এ হাদীস শরীফ ইমাম মুহাম্মদ ‘আ-সা-র’-এ এবং ইমাম আবদুর রায্যাক্ব তার ‘মুসান্নাফ’-এ বর্ণনা করেছেন।
যুক্তিও চায় যে, ‘আ-মী-ন’ নিম্নস্বরে বলা হোক। কেননা, ‘আ-মী-ন’ ক্বোরআন-ই করীমের আয়াত কিংবা কলেমা (বাক্য) নয়। একারণে, সেটাকে না জিব্রাঈল আমীন এনেছেন, না ক্বোরআন মজীদে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, বরং এটা দো‘আ ও আল্লাহর যিকর। সুতরাং যেভাবে সানা, আত্তাহিয়্যাত, দুরূদ-ই ইব্রাহী-মী ও দো‘আ-ই মা’সূরা ইত্যাদি নিম্নস্বরে পড়া হয়, তেমনি ‘আ-মী-ন’ও নিম্নস্বরে বলা উচিত।
এ কেমন ব্যাপার যে, সমস্ত যিকর নিম্নস্বরে বলা হয়ে থাকে, কিন্তু ‘আ-মী-ন’ কে সবাই জোরে শোরে চিৎকার করে বলবে? এভাবে চিৎকার করে বলা পবিত্র ক্বোরআনেরও বিরোধী, সহীহ হাদীসগুলোরও পরিপন্থী, সাহাবা-ই কেরামের ‘আমলেরও বিরোধী। তাছাড়া, সুস্থ বিবেকের সমর্থনেরও বিরোধী। মহান রব সঠিক আমল করার সামর্থ্য দিন!
দ্বিতীয়ত: এজন্য যে, যদি মুক্বতাদীর উপর সূরা ফাতিহা পড়াও ফরয হয় এবং তাকে ‘আ-মী-ন’ বলারও নির্দেশ দেওয়া হয়, আর মুক্বতাদী যদি সূরা ফাতিহার মধ্যভাগে থাকে আর ইমাম ‘ওয়ালাদ্ব দ্বোয়া—-ল্লী-ন’ বলে ফেলেন, তবে এখন যদি মুক্বতাদী ‘আ-মী-ন’ না বলে, তাহলে ওই সুন্নাতের বিরোধিতা হলো; আর যদি ‘আ-মী-ন’ বলে এবং চিৎকার করে বলে, তবে তো ‘আ-মী-ন’ (সূরা ফাতিহা পড়ার) মধ্যভাগে আসবে, ক্বোরআনে ক্বোরআন নয় এমন জিনিষকে সন্নিবিষ্ট করা হবে আর সূরা ফাতিহার মাধ্যভাগে শোর-চিৎকার করা হবে। (সুতরাং এর কোনটাই সমীচীন হবে না।)