Anjuman-E Rahmania Ahmadia Sunnia Trust

হযরত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র জীবন ও কর্ম

হযরত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র জীবন ও কর্ম

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী

মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম আল ইসলামের শান্তির বাণী যাঁদের অক্লান্ত ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে বিশ্বব্যাপী প্রচারিত, যাঁদের নিরলস কর্মতৎপরতা ও অবিরাম সাধনার বদৌলতে ইসলাম আজ কালোত্তীর্ণ, যুগোপযোগী সার্বজনীন ও বিশ্বজনীন জীবনাদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তাঁদের মধ্যে আল্লাহর প্রিয় নবী রাসূলগণের অবদান সর্বাগ্রে, প্রিয় নবীর তিরোধানের পর দ্বীন প্রচারের দায়িত্ব অর্পিত হয়, হেদায়তের উজ্জ্বল নক্ষত্র সাহাবায়ে-কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন বুজুর্গানে-দ্বীন ও আউলিয়ায়ে কামেলীনদের উপর। রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, পেশোয়ারে আহ্লে সুন্নাত, অলীয়ে কামেল হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি সেই সব পুণ্যাত্মা বান্দাদের একজন।
এই মহান ইনসানে কামিল, আধ্যাত্মিক সাধকপুরুষ হযরত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হাজারা বিভাগের অন্তর্গত সিরিকোট শেতালু শরীফের সৈয়দ বংশে যুগশ্রেষ্ঠ অলীয়ে কামেল হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ ছিরিকোটি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি এর পবিত্র ঔরশে ১৯১৬ সনে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বুজুর্গ পিতা, শাহসুফী আল্লামা হাফেজ সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির সান্নিধ্যে থেকে ১৯২৭ সালে ১১ বছর বয়সে কুরআন শরীফ হেফজ করেন। অতঃপর সুধীর্ঘ ১৬ বছর হযরত সিরিকোটির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
তাফসীর, ফিকহ, উসূল, নাহু, ছরফ, আক্বায়িদ, সাহিত্য, বাগ্মিতা তাসাউফ, মারিফাত তরীক্বত ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অসাধারণ পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি ছিলেন এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ।
তৎকালীন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম প্রখ্যাত হাদিসবেত্তা ও তাফসীরকার আল্লামা সরদার আহমদ লাইলপুরী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির সান্নিধ্যে থেকে তাফসীর ও হাদিসশাস্ত্রে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। ১৯৪৩ এর দিকে ২৮ বছর বয়সে তিনি কৃতিত্বের সাথে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। তিনি যেমন একজন পীরে কামেল, সাধক পুরষ ছিলেন, তেমনি একজন সুবক্তা হিসেবে গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফরকালে জলসা মাহফিল ইসলামী সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন, সমাবেশে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ তাক্বরীর ও ভাষণ গুলো ছিল অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী। কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয়াদির উপর তিনি গুরুত্বপূর্ণ তাকরীর করতেন। তাঁর তাকরীর ছিল যুক্তিপূর্ণ, তথ্য নির্ভর, সহজ-সরল, প্রাঞ্জল, হৃদয়গ্রাহী এবং মর্মস্পর্শী। তাঁর নুরানী তাক্বরীর শ্রবণে সমবেত শ্রোতাদের মধ্যে খোদাভীতি ও নবী প্রেমের আলোকধারা উদ্ভাসিত হতো, তাঁর নুরানী ভাষণগুলো খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও জনপ্রিয় ছিল। তাঁর বহু নুরানী তাক্বরীর পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়েছে এবং বহু প্রদত্ত ভাষণ সংগৃহীত হয়ে প্রকাশের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ইলমে শরীয়ত অর্জনের পাশাপশি তিনি তরীক্বতের দীক্ষা গ্রহণ করেন, ৪০ বছর বয়সে আব্বাজান হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি তাঁর উপর খিলাফতের দায়িত্বভার অর্পন করেন। ইবাদত-বন্দেগী, মুরাকাবা-মুশাহাদা ও রিয়াযত এর মাধ্যমে তিনি সুলুক ও তরীক্বতের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করেন। তাঁর পিতার ইনতিকালের পর ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছরই তিনি বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) তাশরীফ এনেছিলেন এবং পরবর্তী ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এদেশে শুভাগমন করে মুসলিম জনতাকে হেদায়তের পথে পরিচালিত করেছেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অগণিত লোক সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরীয়ায় অর্šÍভুক্ত হয়। তাঁর অসংখ্য ভক্ত অনুরক্ত আজ পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। তাঁর কর্মের পরিধি শুধু মাতৃভূমিতে সীমাবদ্ধ ছিলনা বরং তাঁর কার্যক্রম বিশাল মহীরূহে পরিণত হয়েছে। যার শাখা প্রশাখা ও পুষ্পরাজির বিস্তৃতিতে দ্বীনের বাগান আজ সুশোভিত ও সুরভিত। এটা একমাত্র তাঁর বেলায়তী শক্তির প্রভাব। পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা, আজাদ কাশ্মীর, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ইরাক, লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকাসহ মুসলিম বিশ্বের অসংখ্য মানুষ তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিরাতুল মুস্তাকীম তথা হিদায়তের সঠিক পথে পরিচালিত হয়ে আসছে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এ মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন একাধারে আলেমেদ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, সত্যের প্রচারক, দ্বীনের সেবক, আদর্শ সংগঠক, সফল সংস্কারক সর্বোপরি চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির চিন্তাধারার সার্থক রূপকার। উপরন্ত ইসলামের মূলস্রোতধারা কুরআন, সুন্নাহ, এজমা, কিয়াসের সমষ্টি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে সুন্নী মতাদর্শের যথার্থ বাস্তবায়ন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সাধন, মুসলিম মিল্লাতের ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ ছিল তাঁর স্বপ্ন। এ লক্ষ্য বাস্তাবয়নে তাঁর প্রণীত কর্মসূচী ও গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ সুন্নীয়তভিত্তিক কার্যক্রমকে করেছে বেগবান। ইসলামী আদর্শ প্রচারে প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্যতার কথা চিন্তা করে তিনি এদেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন মসজিদ খানকাহ, মাদরাসা, মক্তব, এতিমখানা, হেফজ খানা ও সমাজ সেবামূলক অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সমূহ সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে জনসাধারণের প্রশংসা অর্জন ও দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে।
১৯২৫ সালে বার্মায় সর্বপ্রথম ‘আনজুমানে শুরায়ে রহমানিয়া’ নামে তাঁর আব্বাজান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি সংস্থা যা পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ‘আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া’ নামে পরিবতির্ত হয় এবং ১৯৬১ সালে হুজুর ক্বেবলা হযরত তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির উপর এ সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব অর্পিত হয়। ১৯৫৪ সালে হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামি শিক্ষার প্রাণ কেন্দ্র ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া’ প্রাথমিক পর্যায়ে দরসে নিযামিয়্যার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে হুজুর ক্বেবলা তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির পৃষ্ঠপোষকাতা লাভের পর ১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা এডুকেশন বোর্ড কর্তৃক ফাযিল মানের অনুমোদন লাভ করে । ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কামিল হাদিস, ১৯৮৫ সালে কামিল ফিকহ, ১৯৯৫ সালে কামিল তাফসীর বিভাগের সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে উপমহাদেশের অন্যতম বহুমুখী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি লাভ করে । ১৯৬৮ সালে রাজধানী ঢাকার মুহাম্মদপুরে জামেয়া ক্বাদেরীয়া তৈয়্যবিয়া আলীয়া মাদরাসা স্থাপন করেন, যা ইসলামী শিক্ষার প্রসারে এক গৌরবোজ্জ্বল ও যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনাস্থ তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়ার পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে হালিশহরস্থ মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে ফাযিল মানে উন্নীত। এছাড়া দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরো অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করে ইসলামী শিক্ষার প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যান। এসব প্রতিষ্ঠান জাতির চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণ, চাল-চলন সংস্কৃতির লালন এবং অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। প্রিয় নবীর জন্ম বার্ষিকীর স্মৃতি বিজড়িত অকৃত্রিম ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ ‘জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী’ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) উদযাপিত হয়। ১৯৭৬ হতে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বন্দর নগরী চট্টলা ও রাজধানী ঢাকার রাজপথ রাসূল প্রেমিকদের পদচারণায় মূখরিত ছিল আর সে মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। বর্তমানেও তাঁরই উত্তরাধিকারীদের সুযোগ্য নেতৃত্বে তার ধারবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। নবী প্রেমিকদের এ বিশাল মিছিলে সুন্নী জনতা স্বীয় অন্তরাত্মাকে নবী প্রেমে উজ্জীবিত করে তোলে।

প্রকাশনা
শরীয়ত ও তরীক্বত এ দুটি স্রােতধারার বহুমুখী কার্যক্রমকে তিনি শুধু ওয়াজ-মাহফিল তথা নুরানী তকরীর ও ভষণে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং তিনি এ আদর্শকে মুসলিম মিল্লাতের মানসপটে স্থায়ীভাবে চিত্রায়িত করার প্রয়াসে বহুমুখী প্রকাশনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মা’য়ারিফে লুদুনীর প্র¯্রবণ, উলুমে এলাহীয়্যার ধারক হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌরভী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি কর্তৃক রচিত ত্রিশপারা দরুদ শরীফ সম্বলিত অদ্বিতীয় গ্রন্থ মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াত-এ রাসূল তাঁরই তত্ত্বাবধানে তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশনার কাজ সমাপ্ত হয় । এ ছাড়া ‘আওরাদে ক্বাদেরীয়া রহমানিয়া’ নামক বরকতময় অজিফা তাঁরই অনুমতিক্রমে প্রকাশিত হয়। এছাড়া ইসলামী সাহিত্য জগতে অনন্য স্মারক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদাভিত্তিক মাসিক মুখপত্র ‘তরজুমান’ তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৮ সন থেকে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ১৯৮৬ সাল হতে তাঁর তত্ত্বাবধানে মজলিসে গাউসিয়া পাকিস্তান হতে মাসিক পত্রিকা ‘আনোয়ারে মোস্তফা’ প্রকাশিত হয়ে আসছে। মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে ই রাসূল এর বিশাল দরুদ শরীফ গ্রন্থের ৩০ পারা তাঁরই তত্ত্বাবধানে আরবি হতে উর্দুতে ভাষান্তরিত হয়েছে।
ইন্তেকালঃ দ্বীন ও মিল্লাত তথা সুন্নীয়তের অগ্রনায়ক, তরীক্বত জগতের উজ্জ্বল রবি, এ মহান অলীয়ে কামিল, রহমনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, পেশোওয়ায়ে আহলে সুন্নাত হযরতুল আল্লমা আলহাজ্ব হাফজে ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত গুণগ্রাহী ও অগণিত সুন্নী মুসলিম জনতাকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ১৫ জিলহজ্ব ১৪১৩ হিজরী মোতাবিক ৭ জুন ১৯৯৩ সনের সোমবার, ৭৭বছর বয়সে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন। হে আল্লাহ আমাদেরকে এ সাধক মহাপুরুষের পদাঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি নসীব করুন। আমিন! বিহুরমতি সায়্যিদিল মুরসালিন সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসল্লাম।

অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মধ্য-হালিশহর, বন্দর, চট্টগ্রাম।

Share:

Leave Your Comment