পরিবেশ সংরক্ষণে বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি
عَنْ اَنَسْ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرَسًا او يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَاكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ او اِنْسَانٌ او بَهِيْمَةٌ اِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَةٌ- (رواه البخارى)
অনুবাদ: হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কোন মুসলমান যদি গাছ রোপন করে অথবা কোন ফসল আবাদ করে এবং তা থেকে কোন পাখি বা মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু ভক্ষণ করে তবে তা তার জন্য সাদকা স্বরূপ পরিণত হয়ে যায়। [বুখারী শরীফ]
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
মানব জাতি আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে বিবেচিত। অন্যান্য সৃষ্টিরাজির সবকিছুই মানুষের প্রয়োজন পূরণ ও কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আগুন, বাতাস, মাটি, পানি মৌলিক উপাদানগুলো আমাদের চারপাশের পরিবেশ জীবন ও অস্তিত্বের সাথে জড়িত। নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, পশু-পাখি, জীব-জন্তু, কীট-পতঙ্গ, সাগর-মহাসাগর সবকিছুই পরিবেশের অংশ। মানব জীবনের সুখ-শান্তি, উন্নতি-সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও সুস্থতা নির্ভর করে সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশের উপর। ব্যক্তিগত পারিবারিক, সামাজিক, দেশ ও জাতির সুস্থ ও নিরাপদ জীবনের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণে মানুষের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং পৃথিবীকে মানুষের বসবাস উপযোগী রাখার জন্য মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থেই পরিবেশের সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষায় গাছ-পালা ও বনাঞ্চল রক্ষা করা, জমি চাষাবাদ করা, অধিকহারে বৃক্ষ রোপন করা ও সঠিকভাবে বৃক্ষরাজির যত্ন নেয়ার ব্যাপারে ক্বোরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষায় ইসলাম সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছে। পক্ষান্তরে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টকারী সকল প্রকার ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য ইসলাম বারবার সতর্ক ও সাবধান করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মানব সৃষ্ট পরিবেশগত সমস্যা আজ প্রকট আকার ধারণ করেছে। আজকে ঘর-বাড়ী, দালান-কোটা নির্মাণের নামে ব্যাপকহারে বৃক্ষ নিধন করে বন জঙ্গলকে উজাড় করে দেয়া হচ্ছে, মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত অফুরন্ত অক্সিজেনের উৎস গাছ-পালা ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্যতা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অথচ ইসলামের নবী পৃথিবীর সৌন্দর্য সুরক্ষায় দেড় হাজার বৎসর পূর্বে ঘোষণা করেছেন, ‘‘তোমরা ফলবান কোন বৃক্ষ কর্তন করবে না, এবং কোন বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেবে না, খাওয়ার উদ্দেশ্যে ছাড়া তোমার কোনো বকরি ও উট হত্যা করবে না, এবং তোমরা কোনো খেজুর বৃক্ষ ডুবিয়ে বা জ্বালিয়ে দেবে না।’’ [মাকাসীদ আশ্ শরীয়্যাহ: পৃষ্ঠা-৩০২]
প্রতিটি বৃক্ষ আমাদেরকে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় প্রত্যাশিত অক্সিজেন সরবরাহ্ করে যাচ্ছে। এ কারণে বৃক্ষের সযত্ন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম গুরুত্বারোপন করেছেন। মুসনাদে আহমদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-مَنْ نَصَبَ شَجَرَةً فَصَبَرَ عَلى حِفْظِهَا وَالْقِيَامُ عَلَيْهَا حَتّى تَثَمَّرَ فَاِنَّ لَهُ فِىْ كُلّ شَىْءٍ يُصَابُ مِنْ ثَمَرِهَا صَدَقَةٌ عِنْدَ اللهِ عَزَّ وَ جَلَّ- (رواه احمد)
অর্থ: যে ব্যক্তি গাছ লাগায় অতঃপর তার হিফাজত ও সংরক্ষণ করতে থাকে যতদিন না সে গাছে ফল ধরে এ সময়ে এ ফলের যা কিছু ক্ষতি সাধিত হবে তার সাওয়াব সে আল্লাহ্ নিকট থেকে প্রাপ্ত হবে। [মুসনাদে আহমদ]
অপ্রয়োজনে গাছ-পালা কর্তনে পরকালে শাস্তি
যারা অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করে বনাঞ্চলে উজাড় করে দেয়, প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট করে খোদা প্রদত্ত সম্পদ ধ্বংস ও ক্ষয়-ক্ষতি করে জাগতিক জীবনেও তারা অপরাধ করছে পরকালেও তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
مَنْ قَطَعَ سِدْرَةً صَوَّبَ اللهُ رَاسَهُ فِى النَّارِ- (رواه ابوداود)
‘‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটবে আল্লাহ্ তার মস্তককে আগুনে নিক্ষেপ করবেন। [সুনানে আবু দাঊদ: হাদীস-৫২৪১]
বৃক্ষরাজি থেকে বান্দার রিযিক
আল্লাহ্ তা‘আলা সমগ্র সৃষ্টি রাজির রিযিকের জিম্মাদার মাখলুককে সৃষ্টি করে তিনি অসহায় করে ছেড়ে দেননি। প্রতিটি সৃষ্টির রিযিকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন, পবিত্র ক্বোরআনে এরশাদ করেছেন- إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
‘‘আল্লাহ্ই তো মহান রিযিকদাতা এবং মহাশক্তির অধিকারী তিনি প্রবল পরাক্রান্ত। [সূরা যারিয়াত: আয়াত-৫৮]
বৃক্ষরাজি থেকে উৎপাদিত ফলমূল শষ্য পত্র-পল্লবে ও শষ্যদানায় কেবলমাত্র মানব জাতির রিযিক নয়, এতে আরো রয়েছে গরু-ছাগল, ভেড়া, মহিষ, দুম্বা, উট, ঘোড়া, হাতি সহ অসংখ্য প্রাণীকুলের রুজি ও খাদ্যের ব্যবস্থা।
আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন- أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ ثَمَرَاتٍ مُّخْتَلِفًا أَلْوَانُهَا –
অর্থ: তুমি কি দেখো না! আল্লাহ্ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, এবং আমি তা দ্বারা বিচিত্র বর্ণের ফলমূল উদ্গত করি। [সূরা ফাতির: আয়াত-২৭]
মহান আল্লাহ্ যদি ফল উৎপাদনকারী বৃক্ষরাজি সৃষ্টি না করতেন অসংখ্য প্রাণী শ্বাসরোধ হয়ে অনাহারে প্রাণত্যাগ করত। সুতরাং বেচে থাকার জন্য প্রয়োজন উদ্ভিদের। উদ্ভিদই জীব-জন্তুর প্রাণ, উদ্ভিদ না থাকলে জীব-জন্তু বাঁচতে পারে না।
এই উদ্ভিদ গাছ-পালা মানুষকে ও জীব-জন্তুকে বেঁচে থাকার জন্য উপকরণ যোগান দেয়। মানব জাতি, জীব-জন্তু ও উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে চমৎকার সম্পর্ক, উদ্ভিদ না থাকলে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী একদিনও টিকে থাকা সম্ভব হতো না। তাই মহান আল্লাহ্ তা‘আলা মানব জাতির অস্তিত্বের জন্য উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন-
فَلْيَنظُرِ الإِنسَانُ إِلَى طَعَامِهِ أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاءَ صَبًّا ثُمَّ شَقَقْنَا الأَرْضَ شَقًّا فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا وَعِنَبًا وَقَضْبًا وَزَيْتُونًا وَنَخْلا وَحَدَائِقَ غُلْبًا وَفَاكِهَةً وَأَبًّا مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
অর্থ: ‘‘কাজেই মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক। নিশ্চয় আমি প্রচুর পরিমাণে পানি বর্ষণ করি। তারপর জমিনকে যথাযথভাবে বিদীর্ণ করি। অতপর তাতে আমি উৎপাদন করি শষ্য, আঙ্গুর ও শাক-সবজি, যায়তুন ও খেজুর বন, ঘনবৃক্ষ শোভিত বাগ-বাগিচা আর ফল ও তৃণগুল্ম। তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণ স্বরূপ। [সূরা আবাসা: আয়াত-২৪-৩২]
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভূমি চাষাবাদের গুরুত্ব
খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ভূমি চাষাবাদের উপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
عَنْ جَابِر رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَتْ لَهُ اَرْضُ فَلْيَزْرَعْهَا فَاِنْ لَمْ يستطيع اَنْ يَزْرعْهَا وَعَجَزَ مِنْهَا فَلْيَمْنَحْهَا اَخَاهُ الْمُسْلِمَ الخ-
হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কারো কোনো ভূমি থাকলে সে যেন তা চাষাবাদ করে। আর যদি সে চাষাবাদ করতে না পারে এবং অক্ষম হয়ে পড়ে তাহলে উক্ত জমি নিজ মুসলমান ভাইকে দেওয়া উচিত। [সহীহ মুসলিম: খ-২, পৃষ্ঠা-১১]
বর্ণিত হাদীসের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভূমি পরিত্যক্ত না রেখে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি পূরণ আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে ধান, গম, ভুট্টা চাষ করে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করা যায়। এভাবে আম, জাম, লেবু, কমলা, আপেল, পেপে, আনারস, পিয়াজ, রসূন, মুসর, আলু, শাক-সবজি, শশা ইত্যাদি উৎপন্ন করে প্রচুর অর্থ-সম্পদ অর্জন করা যায়।
বৃক্ষের চারপাশ পবিত্র রাখার নির্দেশনা
পবিত্রতা ঈমানের অংশ। ইসলাম কেবলমাত্র মানুষের শারীরিক ও আত্মিক পবিত্রতা অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেনি। বরঞ্চ দূষণ মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরনে লোকালয় চলাচলের পথ, রাস্তাঘাট, বাড়ীঘরের আঙ্গিনা, এমনকি গাছ-পালার চতুর্দিকের স্থানও ময়লা আবর্জনা ও মলমূত্র ত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন।
গাছের ছায়ায় প্রস্রাব-পায়খানা করা নিষেধ
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণিত যে, চলাচলের রাস্তায়, গাছের নীচে বা জলাশয়ে পায়খানা-প্রস্রাব করলে অসংখ্য প্রজাতীর রোগ জীবাণু বাতাসের সাহায্যে দেহে প্রবেশ পরে নানা প্রকার রোগ-ব্যধির সৃষ্টি করে পরিবেশ দূষিত করে তোলে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় হাজার বৎসর পূর্বেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাবিজ্ঞানী ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অভিশপ্ত তিনটি ক্ষতিকর কাজ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য মানব জাতিকে সতর্ক করেছেন। এরশাদ হয়েছে-
عَنْ مُعَاذ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلم اتَّقُوْا الْملاعِنِ الْثَلَثَةِ – اَلْبَرَازُ فِى الْمَوَارِدَ وَقَارِعَةِ الطَّرِيْقِ وَالظِّلِّ- (رواه ابوداود)
হযরত মুয়াজ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা তিনটি অভিশাপজনক কাজ থেকে বেঁচে থাক। ১. পানির ঘাটে পেশাব-পায়খানা করা, ২. চলাচলের পথে, ৩. এবং কোনো গাছের নীচে বা ছায়ায় পায়খানা পেশাব করা হতে বিরত থাক। [আবু দাউদ: হাদীস নম্বর- ২৬]
তাই আসুন সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠনে পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতন হই। নিজেদের বাড়ী ঘরের আঙ্গিনা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের খালি জায়গায়, সড়ক-মহাসড়কের দুপাশে, অধিক পরিমাণ বৃক্ষরোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষায় সচেষ্ট হই। নবী মোস্তফার ফরমান অনুযায়ী সাদকায়ে জারীয়ার সওয়াব অর্জন করে ইসলামের সৌন্দর্য বিকশিত করি। আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আ-মী-ন।
লেখক: অধ্যক্ষ- মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রি), বন্দর, চট্টগ্রাম।
সংশোধনী
মাসিক তরজুমান শাওয়াল-১৪৪৩ হিজরী সংখ্যায় দরসে হাদীস-এ হাদীস শরীফের ইবারতে মুদ্রণ ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। যার সংশোধন নিম্নে প্রদত্ত হলো-০৭ নম্বর পৃষ্ঠায় فصلاة وصدقته -এর স্থলেوَصَدتَقَة পড়তে হবে। ০৯ পৃষ্ঠায় لا يغدوا يوم الفطر حتى ياكل المرات -এর স্থলে تمرات حتى ياكل পড়তে হবে।